বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :

মিয়ানমারে মুসলিম হত্যাযজ্ঞ বন্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : মিয়ানমারের পুলিশ পোস্টে সমন্বিত হামলা চালানোর অজুহাতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর গুলিতে ৭১ জন নিহত হওয়ার খবরে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ করে বলেছেন, মিয়ানমারে সামরিক জান্তা-পুলিশ ও সন্ত্রাসী বৌদ্ধদের দ্বারা বর্বরোচিত রোহিঙ্গা মুসলিম গণহত্যা, ধর্ষণ, বাড়ী-ঘরে অগ্নিসংযোগ ও নির্যাতন ও দেশছাড়া করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। এধরণে হামলা করে মিয়ানমার সরকার হিংস্র হায়েনার পরিচয় দিয়েছে, আজ এক বিবৃতি  ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন রোহিঙ্গাদের উপর মিয়ানমারের এহেন হামলা ও হত্যাকান্ড বন্ধে বিশ্ববিবেককে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান জানান। সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর সকল ধরণের হামলা, হত্যাকান্ড বন্ধসহ তাদের সকল প্রকার নাগরিক ও মানবিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানান। সাথে সাখে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশে আশ্রয়গ্রহণকারী সকল রোহিঙ্গাকে তাদের স্বদেশ মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়ারও দাবী জানান। গণহত্যা ও ধর্ষণের বিচার এবং মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমা লীয় রাজ্যে মানবিক বিপর্যয় রোধ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানান।

তিনি আরো বলেন, মিয়ানমারের হাজার হাজার মুসলমান নারী, শিশু, পুরুষকে ইতিহাসের সবচেয়ে পৈশাচিকভাবে হত্যা করা হয়, আগুনে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে, এত নিষ্ঠুর আচরণ মেনে নেয়া যায় না। মিয়ানমারের সরকার রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে বলছে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক নয়। সেদেশের নাগরিক নয়, এজন্য তাদের দেশত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে। অথচ রোহিঙ্গারা হাজার হাজার বছর ধরে বসবাস করে আসছে। যদি রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের হয়, তাহলে আরাকানও বাংলাদেশের অংশ। আরাকানকে বাংলাদেশে ফেরত দিতে হবে।

উলে­খ্য, গত বছরের অক্টোবরে একই ধরনের হামলার অজুহাতে রাখাইন রাজ্যে বড় আকারের সামরিক অভিযান হয়েছিল। তখন সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে হত্যাকান্ড, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ করার অভিযোগ ওঠেছিল। জাতিসংঘ মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকান্ডকে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের শামিল বলে উল্লেখ করা হলেও বর্তমান জাতিসংঘ মিয়ানমারের সন্ত্রাসী জান্তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা নিচ্ছে না। চলতি মাসে রাথেটং শহরে নতুন করে ক্লিয়ারেন্স অপারেশন শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এ এলাকায় রাখাইন ও রোহিঙ্গা দুই সম্প্রদায়েরই বসবাস।

-এজেড


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ