বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :

বিশেষ মর্যাদা বাতিল হলে কাশ্মিরে ভারতের পতাকা ধরার লোক পাওয়া যাবে না

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : ভারতের সংবিধান থেকে জম্মু-কাশ্মির সংক্রান্ত ৩৫ ধারা বিলুপ্ত করা হলে কাশ্মিরে ভারতের পতাকা ধরার লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে হুশারি উচ্চারণ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি।

অন্যদিকে সংবিধানের ৩৫-এ ধারা বাতিলের চেষ্টার প্রতিবাদে আগামী ২৯ আগস্ট বনধের ডাক দিলেন কাশ্মিরি নেতারা।

৩৫-এ ধারা অনুসারে রাজ্যটি বিশেষ মর্যাদা ও সুবিধা ভোগ করে।

কাশ্মিরের যৌথ রাজনৈতিক নেতৃত্ব সাইয়্যেদ আলী শাহ গিলানি, মীরওয়াইজ ওমর ফারুক এবং মুহাম্মদ ইয়াসীন মালিকের পক্ষ থেকে ওই বনধের ডাক দেয়া হয়েছে।

তারা বলেছেন, ৩৫ ধারা রাজ্যের জীবন ও মৃত্যুর ব্যাপার। এটি রক্ষার জন্য প্রয়োজনে তারা রক্ত ঝরাবেন।

৩৫-এ ধারা ইস্যুতে আগামী ২৯ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

তার আগে প্রতিরোধ আন্দোলন নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে গতকাল শুক্রবার থেকে ৫ দিনের প্রতিবাদ আন্দোলন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।

শুক্রবার কাশ্মির 'বার এসোসিয়েশন'-এর পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে। একইদিনে 'জেলা বার এসোসিয়েশন-এর পক্ষ থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রতিবাদ জানানো হবে।

শনিবার সমস্ত সুশীল সমাজ, ব্যবসায়ী সংগঠন, ধর্মীয় ও সামাজিক সংস্থার পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ বিক্ষোভ হবে।

একইভাবে রোববার ও সোমবারও বিভিন্ন কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার আদালতের পক্ষ থেকে শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকায় ওইদিন সম্পূর্ণ বনধ পালিত হবে।

আজ ৩৫-এ ধারা ইস্যুতে কাশ্মির ট্রেডার্স ম্যানুফ্যাকচারার্স ফেডারেশন (কেটিএমএফ) এবং কাশ্মির ইকনোমিক অ্যালায়েন্সের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত বনধকে সমর্থন করা হয়েছে।

কেটিএমএফ-এর প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ ইয়াসিন খান বলেছেন, তারা জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা রক্ষার্থে বুলেটের মুখোমুখি হতেও প্রস্তুত।

তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার যদি ৩৫-এ ধারা বিলোপ করে তাহলে সর্বাত্মক লড়াই হবে। এটা তাদের জন্য জীবন ও মৃত্যুর বিষয় বলেও ইয়াসিন খান মন্তব্য করেন।

 

২০১৪ সালে একটি বেসরকারি সংস্থা জম্মু-কাশ্মির থেকে ৩৫-এ ধারা তুলে দেয়ার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায়। জম্মু-কাশ্মির সরকার পাল্টা হলফনামা জমা দিয়ে ওই আবেদন খারিজ করার দাবি জানালেও কেন্দ্রীয় সরকার কোনো পক্ষ নেয়নি। বরং গত মাসে ভারতের অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক হওয়া উচিত বলে সুপ্রিম কোর্টে বলেন। ওই ইস্যুতে রাজ্যটিতে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

৩৫-এ ধারা বাতিল করলে কাশ্মিরে ভারতের জাতীয় পতাকা ধরার কেউ থাকবে না বলে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি মন্তব্য করেছেন।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ