আওয়ার ইসলাম : দেশের স্বাধীনতা-স্বকীয়তা, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় মূল্যবোধ, চেতনা-বিশ্বাসের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলে ছাত্রীদের অশালীন পোশাক পড়ে হলের ভিতর চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞা প্রদান করায় একটি মহলের গাত্রদাহ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই মহলটিই দেশ থেকে ইসলামী ঐতিহ্য-সংস্কৃতিকে উৎখাতের মানসে হাফেজ্জী হুজুরের নাম স্বাধীনতা-বিরোধীদের তালিকাভুক্ত করে সড়ক থেকে তাঁর নাম প্রত্যাহার করিয়েছে। এদের এসব ষড়যন্ত্রের নখদাঁত উপড়ে ফেলতে না পারলে ঈমান ও ইসলাম নিয়ে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
শনিবার বিকাল ৩ টায় লালবাগ কেল্লার মোড়স্থ খেলাফত মিলনায়তনে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর আয়োজিত থানা প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন প্রধান আমীরে শরীয়ত মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী এসব কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও ঢাকা মহানগর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদীর সভাপতিত্বে এবং ঢাকা মহানগর যুগ্ম সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হেদায়াতুল্লাহ বাশার, মুফতি সূলতান মহিউদ্দীন, মাওলানা সানাউল্লাহ, মহানগর নায়েবে আমীর মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমী, সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, মুফতি নাঈম হোসাইন, মুফতি মামুনুর রশিদ, মাওলানা মোফাজ্জল হোসাইন, মো: মোফাচ্ছির হোসাইন, মাওলানা জাফর আহমাদ, প্রিন্সিপাল শফিকুল ইসলাম, মো: আব্দুর রব, হাফেজ মাওলানা রুহল আমীন সহ বিভিন্ন থানা প্রতিনিধিবৃন্দ।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেন, ৯৫ ভাগ মুসলমানের দেশে সরকার কতৃক খুতবা নিয়ন্ত্রণের কথা বলা কল্পনাতীত ব্যাপার। নাস্তিক্যবাদীরা মসজিদ-মাদরাসা, ইসলামী তাহজীব-তামাদ্দুনকে মিটিয়ে দিতে সদা তৎপর। এমতাবস্থায় আলেম-উলামা, ইমাম-খতীবসহ প্রত্যেক দেশপ্রেমিক ও ঈমানদার ব্যক্তিকে ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। অন্যথায় এসকল মসজিদ-মাদরাসাগুলোও একদিন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
প্রতিনিধি সম্মেলনে মাসব্যাপী নতুন সদস্য সংগ্রহ, থানা কমিটিসমূহ পুনর্গঠন, উলামা, সূধী ও কর্মী সম্মেলন, সিরাত মাহফিল ও সেমিনার, বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ সংগ্রহ ও বিতরণ ইত্যাদি কর্মসূচি প্রদান করা হয়।
-এজেড