ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে ডেরা সাচ্চা সৌদা সংগঠনের প্রধান ও স্বঘোষিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণ মামলার রায় আজ প্রকাশ হবে। এ রায়কে কেন্দ্র করে পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে রাম রহিম সিং ৮০০ গাড়ির বিশাল কনভয়ের মাধ্যমে আদালতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন।
১৯৯৯ সালে তার বিরুদ্ধে দুই শিষ্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। বার বার বেনামি চিঠিতে অভিযোগ পেয়ে ২০০২ সালে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই রাম রহিম সিংয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করে। দীর্ঘ ১৫ বছর পর আজ শুক্রবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে সেই মামলার রায় ঘোষণা হওয়ার কথা।
অভিযুক্ত রাম রহিম সিং অবশ্য আগেই ওই অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন।
এদিকে, আদালতের রায় ডেরা প্রধানের বিরুদ্ধে গেলে তার ভক্ত-অনুসারীরা তাণ্ডব চালাতে পারে এমন আশঙ্কায় পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। হরিয়ানার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে সেখানে প্যাসেঞ্জার ও মেইল-একপ্রেস ট্রেনসহ মোট ২০১ টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।
পঞ্চকুলায় সেনাবাহিনীর কুইক রিঅ্যাকশন টিম মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া পরিস্থিতি মোকাবিলায় পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় হাই অ্যালার্ট জারি করাসহ ১৫ হাজার আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
চণ্ডীগড়ে ৭২ ঘণ্টার জন্য মোবাইল ইন্টারনেটে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলোকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেয়া হয়েছে।
কর্মকর্তারা বলছেন- পঞ্চকুলা, সিরসা, হিসারসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় নিরাপত্তা বাহিনী ফ্ল্যাগমার্চ করেছে।
সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে কয়েকটি হাসপাতালকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, ফেসবুক ও টুইটারে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে যাতে কোনো গুজব না ছড়াতে পারে।
হরিয়ানা সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি স্টেডিয়ামকে অস্থায়ী কারাগারে পরিণত করা হয়েছে।
স্বঘোষিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের বিরুদ্ধে প্রায় ৪০০ জন ভক্তের অণ্ডকোষ কেটে ফেলাসহ আশ্রমের ৪০/৪৫ জন তরুণীর সঙ্গে নিয়মিত যৌনাচার চালানোর অভিযোগ রয়েছে। মূল অভিযোগকারিনীকে নিজের বিশেষ ‘গুহা’য় ডেকে নিয়ে গিয়ে পাশে আগ্নেয়াস্ত্র রেখে ধর্ষণ করার অভিযোগ রয়েছে।