আওয়ার ইসলাম : ২০০২ সালের ১৫ আগস্ট, ইসলামী ছাত্র মজলিসের জন্য এক মর্মান্তিক ঘটনা, ৯০% মুসলিম দেশে মসজিদের শহর হিসাবে পরিচিতি ঢাকা শহরে মসজিদ রক্ষার জন্য প্রান দিতে হয় এটা আমাদের মুসলমদের জন্য লজ্জার বিষয়, শহীদ ইয়াহইয়া তাঁর তাঁজা রক্ত দিয়ে আমাদের কে শিক্ষা দিয়ে গেছেন ইসলাম ও মসজিদ রক্ষার জন্য প্রয়োজন হলে রক্ত দিতে হবে । শহীদ ইয়াহইয়া ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের জন্য প্রেরণার নাম, গতকাল বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস দক্ষিণখান থানার উদ্যোগে শহিদ ইয়াহইয়া দিবসের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি বক্তব্যে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ আজীজুল হক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২০০২ সালের এই দিনে মালিবাগ, চৌধরীপাড়ার বায়তুল আজীম মসজিদ ভেঙ্গে মার্কেট বানানোর সিদ্ধান্ত নেয় টি এন্ড টির উর্ধতন কর্মকর্তা ও সে সময়ের সরকার দলীয় লোকেরা, প্রতিবাদে সর্বস্তরের তৌহাদী জনতার ব্যানারে মিছিলের আহবান করা হয় । মালিবাগ মাদ্রাসা, চৌধরীপাড়া মাদ্রাসা সহ আশেপাশের বিভিন্ন মাদ্রাসার ছাত্র - শিক্ষক ও হাজার হাজার তৌহিদী জনতা অংশ নেয়, সেই প্রতিবাদের আওয়াজ কে স্তব্ধ করার জন্য সরকারের নির্দেশে নির্বিচারে গুলি নিক্ষেপ করে, ঝড়ে পরে ইসলামী ছাত্র মজলিসের কর্মী হাফেজ ইয়াহইয়া সহ আরো চারটি তাঁজা প্রান আহত হয় আরো অনেক, শহীদ ইয়াহইয়া মালিবাগ মাদ্রাসার ছাত্র ছিলেন ।
গতকাল ১৫ আগস্ট, মঙ্গলবার, সকাল ৯টায় দক্ষিণখান পুস্পকানন মিলনায়তনে শাখা সভাপতি আজীজ উল্লাহ আহমদির সভাপতিত্বে ও শাখা সেক্রেটারি আবু সালেহের পরিচালনায় উক্ত দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের গাজীপুর মহানগরী সভাপতি মুহাম্মদ রমজান আলী, ঢাকা মহানগরী উত্তর সেক্রেটারি মুহাম্মদ আবদুল গাফফার, খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরীর যুগ্ম সম্পাদক শাহাবুদ্দীন আহমদ খন্দকার, খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরীর সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা সাইফুদ্দীন আহমদ খন্দকার, অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মিরপুর থানা সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, উত্তরখান থানা সভাপতি মোঃ মাহমুদুল হাসান মুঈন, বিমানবন্দর থানা সভাপতি রাজু ইসলাম, উত্তরা পুর্ব থানা সভাপতি হুজাইফা আল হিজাজী, অনুষ্ঠান শেষে শহিদ ইয়াহইয়া সহ সকল শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করা হয়।
-এজেড