আওয়ার ইসলাম : ভারী বর্ষন আর ভারতের গজলডোবায় বাঁধের গেট খুলে দেয়ায় উজান থেকে আসা ঢলের পানিতে দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর, ঠাকুরগাও, নীলফামারী, জামালপুর নেত্রকোনাসহ বাংলাদেশের উত্তরা লে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় এ পর্যন্ত অন্তত: ২৮ জন নিহত ও লক্ষ লক্ষ মানুষ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ায় খেলাফত মজলিসের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন,
বন্যাকবলিত দিনাজপুর, কুড়িগ্রামসহ উত্তরা লের পানিবন্দী লাখো মানুষ আজ মানবেতর জীবন যাপন করছে। মহাসড়ক ও রেললাইন ডুবে যাওয়ায় দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ইতোমধ্যেই সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বন্যার কারণে বহু মানুষ মারা যাচ্ছে। গবাদী পশু ভেসে যাচ্ছে। বন্যার পানি এখনো হুহু করে বাড়ছে। আরো নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বন্যাকবলিত এলাকায় সরকারের ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতা নেই বললেই চলে। বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ফুসরত সরকারের নেই। সরকার ব্যস্ত নিজেদের গদি রক্ষার জন্যে। এ অবস্থায় উত্তরা লের বন্যাকবলিত মানুষ চরম অনিশ্চয়তা ও দুর্দশার মধ্যে দিনাতিপাত করছে।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় দিনাজপুর, কুড়িগ্রামসহ উত্তরা লের বন্যাকবলিত এলাকায় দ্রুত উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা চালানোর জন্যে অবিলম্বে সেনা ও বিমানবাহিনী মোতায়েনের দাবী জানান। বন্যার কারণে আর যাতে কোন মানুষ মারা না যায় সেজন্যে সরকারকে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। একই সাথে বিভিন্ন রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক সংগঠনসহ সমাজের সামর্থবান মানুষদেরকে দেশের বন্যাদুর্গত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
-এজেড