আওয়ার ইসলাম : ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় সম্পর্কে আওয়ামী লীগ ও সরকারের অবস্থান তুলে ধরার জন্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে দেখা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এ সময় বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহাও উপস্থিত ছিলেন। তবে তাদের মধ্যে কোনো কথা হয় নি।
ওবায়দুল কাদের বেলা ১২টায় বঙ্গভবনে প্রবেশ করে সেখানে দেড় ঘণ্টা অবস্থান করেন। পরে ১টা ৩০ মিনিটের দিকে তিনি বেরিয়ে আসেন।
বের হয়ে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের কাছে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে ব্রিফ করেন তিনি।
তিনি বলেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর অবজারভেশনের বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের পার্টির অবস্থানের কথা মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে তুলে ধরেছি। রায় নিয়ে আমাদের দলের প্রকৃত অবস্থান কী সেই বিষয়ে ব্যাখ্যা করেছি।
এ সময় বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার উপস্থিতি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখানে যে প্রধান বিচারপতি এসেছেন, তা আমি আগে থেকে জানতাম না।
রাষ্ট্রপতি সঙ্গে কোন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শনিবার প্রধান বিচারপতির বাসায় গিয়ে তার সঙ্গে ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে যেসব কথাবর্তা হয়েছে সেই বিষয়েও রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেছি।
এরপর রোববার তিনি বলেছিলেন, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ষোড়শ সংশোধনীর রায় নিয়ে আলাপ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি। এ নিয়ে তার সঙ্গে তিনি ফের কথা বলবেন।
জানা গেছে, সোমবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সনাতন ধর্মাবলম্বীর প্রতিনিধিদের জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা বিনিময়ের অনুষ্ঠান ছিল। এ উপলক্ষে সকালে বঙ্গভবনে যান প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা।
সংবিধানের বাইরে এক চুলও নড়বে না সরকার: অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম
প্রসঙ্গত, সংবিধানে ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কাছে ন্যস্ত করেছিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
কিন্তু এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে এই সংশোধনীকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে বাতিল করে দেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ।
পরবর্তীতে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখে আপিলের রায় দেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পূর্ণ আপিল বেঞ্চ।
আপিলে পূর্ণ রায়ে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পাশাপাশি বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ, সংসদীয় গণতন্ত্র ও বিরাজমান জাতীয় পরিস্থিতি নিয়ে বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ দেয়া হয়।
এসব পর্যবেক্ষণকে অপ্রাসঙ্গিক বলে তা বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে ক্ষমতাসীন দলের নেতৃবৃন্দ।