আওয়ার ইসলাম : আদালতের হাত এত লম্বা নয় যে তারা সংসদে হাত দিতে পারে। এই সংসদ থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করা হয়, আর রাষ্ট্রপতি বিচারপতি নির্বাচন করে থাকেন। তাই সংসদ নিয়ে ধৃষ্ঠতা দেখানোর অধিকার কারো নেই বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
গতকাল বুধবার বিকালে রাজধানীর বিএমএ মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিএমএ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার রাজ্জাক আলীর উদ্ধৃতি দিয়ে এ কথা বলেন। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ২১ বছরে অনেক সরকার ক্ষমতায় এসেছে। তারা কেউ সাহস পায়নি একাত্তরের ঘাতকদের বিচার করতে, যারা লুণ্ঠন করেছে তাদের গায়ে হাত দিতে। কোন বিচারপতিও কালো আইনের বিরুদ্ধে কথা বলেনি। তখন কোথায় ছিলেন তারা?
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, জাতির কয়েকজন বেইমান যখন বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে, চার জাতীয় নেতাকে হত্যা করে, একটি কালো আইন করে হত্যাকারীদের নিরাপত্তা দিয়েছিল, তখন কোথায় ছিল আদালত? কোথায় ছিল সুপ্রিমকোর্ট? কোথায় ছিলেন বিচারপতিরা? বিএনপি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের দাবি করছে। কিসের সহায়ক সরকার। বাংলাদেশের জনগণই সহায়ক সরকার। সারা বিশ্বে সংসদীয় গণতন্ত্রে যেভাবে নির্বাচন হয়ে বাংলাদেশেও সেভাবেই হবে। প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং জনগণ আবারো আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করবে। মন্ত্রী আরো বলেন, পঁচাত্তরের খুনিদের আবার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। টাকা খরচ করা হচ্ছে। চক্রান্ত শুরু হয়ে গেছে। সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
এদিকে গতকাল সচিবালয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলে এইচআইভি, এইডস ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য প্রয়োজনীয় কর্মসূচি পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সফররত শ্রীলঙ্কা ও ভূটানের প্রতিনিধি দলের সাথে মতবিনিমিয় অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলে এইডস নির্মূলের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে একযোগে কাজ করে যাবে। এই অঞ্চলের জনগণের স্বাস্থ্যমানের উন্নয়নে দেশগুলো পারস্পরিক সহায়তা জোরদার করে ইতিমধ্যে সাফল্য পেয়েছে। আগামীতেও সম্পদ ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ে গতিশীলতা বাড়িয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ সব দেশের সহযোগিতা চায়।
দশ সদস্যের প্রতিনিধি দলে শ্রীলঙ্কার শহর পরিকল্পনা ও পানি সরবরাহ প্রতিমন্ত্রী সুদর্শনি ফার্নান্দোপুলে ও ভূটানের সংসদ সদস্য সাংগাই খান্ডুসহ দুই দেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব সিরাজুল হক খান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ ।
-এজেড