আওয়ার ইসলাম : অপরাজনীতির জন্যই আজ দেশের মানুষ রাজনীতি বিমুখ। আগে প্রতিবছর ডাকসু নির্বাচনসহ সকল ছাত্র সংসদ নির্বাচন হতো, নতুন শিক্ষার্থীদের নিয়ে নবীনবরণ অনুষ্ঠান হতো, কর্মীসভা ও পাঠচক্র হতো, নেতাদের বক্তব্যে দেশপ্রেম থাকতো। এতে ছাত্র সমাজসহ দেশের সাধারণ মানুষ রাজনীতির প্রতি উৎসাহিত হতো। আজ আওয়ামী অপরাজনীতির অবস্থা এমন যে, আজ রাজনীতিবিদদের সংসদে নির্বাচিত হওয়ার জন্য নাগরিকের ভোটাধিকার প্রয়োজন হয় না। কেবল তোষামোদী করলেই নেতা হওয়া যায়, মনোনয়ন পাওয়া যায়। আওয়ামী লীগ এই অপরাজনীতি করে রাজনীতি শেষ করে দিয়েছে।
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এর পৃষ্টপোষকতায় জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল কার্যালয়ে লিডারশিপ প্রশিক্ষণ প্রকল্পের আয়োজনে বিএনপির আসন্ন ৩৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বর্তমান স্বৈরশাসন উত্তরণে সময়ের প্রেক্ষাপটে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আগস্ট মাস এলেই মুজিব হত্যার জন্য জিয়াউর রহমান-এর নাম উচ্চারণ করে তাকে দায়ি করা হয়। অথচ মুজিব হত্যার বিচার হয়েছে। সেখানে ছিটেফোটাও জিয়াউর রহমান বা বিএনপির নাম আসেনি। তা সত্তে¡ও আওয়ামী লীগ এই মিথ্যাচার করছে একজন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাকে অপমান করার জন্য।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এডভোকেট ফজলুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, প্রজন্মের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান নান্নু, মো. দেলোয়ার হোসেন, শফিকুল ইসলাম সেলিম, সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
লিডারশিপ প্রশিক্ষণ প্রকল্পের সমন্বয়ক কালাম ফয়েজীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ফজলুর রহমান বলেন, আমি আওয়ামী লীগের চরম দুঃসময়ে ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম, আওয়ামী লীগের হাড়ির খবর জানি। আপনারা নিশ্চিত জানেন যে, ২০১৯ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে না।
তিনি বলেন, দেশটাকে আওয়ামী লীগ মগের মুল্লুকে পরিণত করেছে। এর অবসান এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। বিএনপির উচিৎ এই চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র ও অপরাজনীতি থেকে দেশকে উদ্ধার করার জন্য আন্দোলন সংগ্রামে অবতীর্ণ হওয়া। দেশে আজ খুন-গুম-ধর্ষণ-রাহাজানী-লুটতরাজ চলছে। এজন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধ করিনি।
-এজেড