বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংলাপে সুশীল সমাজের দেওয়া প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা দেশকে ভালোবাসেন। নির্বাচন কমিশনের ডাকা সংলাপে অংশ নিয়ে তারাও বলেছেন নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। পাশাপাশি সেই নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে এবং তাদেরকে নির্বাচনকালীন ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিতে হবে। এর মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হয় বিএনপি সঠিক।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শিশু কল্যাণ পরিষদে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলুর মুক্তির দাবিতে এ সভার আয়োজন করে বরকতউল্লা বুলু মুক্তি পরিষদ। আরও বক্তব্য দেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, শফিউল বারী বাবু প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন এ দেশে আর হবে না। সকল দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচন হতে হবে। অন্যথায় জনগণ সেই নির্বাচন করতে দেবে না। বিএনপি ও জনগণ নির্বাচনে অংশ নেবে না। কারণ বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে জনগণকে ভুল বুঝিয়ে। প্রধান সিইসি ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি জনতার মঞ্চের লোক। নিরপেক্ষ নন। ফলে তার অধীনে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না। এ নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট। এ কমিশন সরকারের নীলনকশা বাস্তবায়নে কাজ করছে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরানো ছাড়া বিকল্প পথ নেই। খালেদা জিয়া সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির মাধ্যমে জনগণের পাশে মিশে যেতে বলেছেন। জনগণকে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ করতে বলেছেন। আন্দোলনের পাশাপাশি নির্বাচনের মাধ্যমে এই অপশক্তিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে। কারণ আওয়ামী লীগ মিথ্যা মামলাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে বিরোধীদলকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চাচ্ছে। নিজেদের শক্তিতে দাঁড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। ঘরের মধ্যে প্রতিবাদ করলে হবে না। রাজপথে নামতে হবে। নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে।
তিনি বলেন, রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের বিষয়ে আওয়ামী লীগ ও সরকার মিথ্যা কথা বলে যাচ্ছে। সোমবারও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলেছেন। দেশকে ধ্বংসের কাজে লিপ্ত হয়েছেন। তারা মিথ্যা কথা বলতে বলতে এখন বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার সত্য প্রতিবেদন নিয়ে মিথ্যা কথা বলে যাচ্ছে।