পর্নোগ্রাফি নির্মাণ ও তা প্রচারের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার ব্যক্তির নাম ফুয়াদ বিন সুলতান।
মঙ্গলবার রাতে উত্তরার ৯ নম্বর সেক্টরের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে র্যাব-১ এর সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করে।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের উপ-পরিচালক সহকারী পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, বেশকিছু অভিযোগের ভিত্তিতে ফুয়াদের উত্তরার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। ওই বাড়ির দু’টি ফ্ল্যাটে সে বিভিন্ন অসামাজিক কাজের আখড়া বানিয়েছিল।
গ্রেফতারের পর র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফুয়াদ জানিয়েছে, ছাত্র অবস্থা থেকেই সে অনেক মেয়ের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। ২০১১ সাল থেকে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দিয়ে কমিশনের বিনিময়ে বাসা ভাড়ার ব্যবসা শুরু করে। ২০১৪ সালের দিকে ফুয়াদ ইন্টারনেটের ব্যবসা শুরু করে। ২০১৬ সাল থেকে ২টি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সে পর্নোগ্রাফির ব্যবসা শুরু করে। এই দু’টি ওয়েবসাইটে ফুয়াদ বিভিন্নভাবে সংগ্রহ করে মেয়েদের আপত্তিকর ছবি, মোবাইল নাম্বার দিয়ে বিভিন্নজনকে আকৃষ্ট করত।
.ফুয়াদ র্যাবকে জানায়, পুরো বাড়িটি তাদের নিজেদের। টাকার বিনিময়ে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য ফ্ল্যাট দু’টির বিভিন্ন কক্ষ ভাড়া দেওয়া হতো। ওই বাড়িতে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার দৃশ্য গোপন ভিডিও ক্যামেরার মাধ্যমে ধারণ করে তাদের ব্ল্যাকমেইল করা হতো।
এছাড়াও সে ওই ফ্ল্যাট থেকে অশালীন অবস্থায় মেয়েদের পাশে বসিয়ে নিজে মুখোশ পড়ে ফেসবুকে লাইভ স্ট্রিমিং করত। একইসঙ্গে পর্নভিডিও তৈরি করে মোটা অংকের বিনিময়ে বিক্রি করত।
র্যাব জানায়, ফুয়াদ ৮টি ওয়েবসাইট পরিচালনা করত।
এছাড়া বিভিন্নজনের কাছ থেকে গোপনে ধারনকৃত অশ্লীল ভিডিও কিনে তার সাইটে উপস্থাপন করত। বাংলাদেশে ফুয়াদই প্রথম বাণিজ্যিক আকারে নিজেকে এই পেশায় নিয়োজিত করেছে, বলে সে র্যাবকে জানিয়েছে।