আওয়ার ইসলাম : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ বলেছেন, মুসলমানদের প্রথম কিবলা পবিত্র আল-আকসা মসজিদে নামাজ আদায়ে বাধা প্রদান করে এবং সাধারণ মুসলমানের উপর নিসংহ হামলা চালিয়ে ইসরাইল সরকার মানবতার বিরুদ্ধে জঘণ্য অপরাধ করেছে।বিশ্ব অশান্তি সৃষ্টিকারী জারজ রাষ্ট্র ইসরাইলের বিষদাঁত ভেঙ্গে দিতে হবে।
তিনি বলেন, আল-আকসা মসজিদকে ইহুদি রাষ্ট্রের কবল থেকে মুক্ত করা মুসলিম উম্মাহর ঈমানি দায়িত্ব ও কর্তব্য। এ দায়িত্ব পালনে মুসলিম উম্মাহকে এক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
এ সময় তিনি বিশ্বব্যাপী ইসরাইলি ও মার্কিনি পণ্য বর্জনের ডাক দেন।
আজ শুক্রবার বাদ জুম’আ রাজধানীর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে মুসলমানদের প্রথম কিবলা বায়তুল মুকাদ্দাসে নামাজ আদায়ে ইসরাইল সরকারের বাধা প্রদান এবং মুসলমানদের হত্যা ও আহত করার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আল আকসা ইসরাইলের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়; সমগ্র মুসলিম উম্মাহর ব্যাপার: ড. আবু ইয়া’লা
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ সেক্রেটারি মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, শ্রমিকনেতা মুফতি মোস্তফা কামাল, উত্তর জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা আরিফুল ইসলাম, ডা. শহিদুল ইসলাম, মাওলানা এইচ এম সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা নেছার উদ্দিন, মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী, নগর দক্ষিণ সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন, উত্তর সহ-সভাপতি আলহাজ্ব হারুনুর রশিদ, আলহাজ্ব আব্দুল আউয়াল, অধ্যাপক ফজলুল হক মৃধা, মাওলানা মাসউদুর রহমান, নুরুজ্জামান সরকার, মাওলানা আব্দুল কাদের।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, বিশ্ব সন্ত্রাসী ইসরাইলি হায়েনারা বিশ্বময় অশান্তির দাবানল জ্বালিয়ে রেখেছে। জাতিসংঘ এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করে সন্ত্রাসী ইসরাইলের পক্ষাবলম্বন করে বিশ্বমুসলিমের কলিজায় আঘাত দিয়েই যাচ্ছে। তাই সময়ের আহবান এই জাতিসংঘ দিয়ে মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষা হবে না তাই পৃথক মুসলিম জাতিসংঘ গঠন করতে হবে।
তিনি বলেন, ইহুদি ও মার্কিণ পণ্য বর্জনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগ করতে বিশ্বমুসলিমকে সোচ্চার ভুমিকা পালন করতে হবে।
পরে একটি বিশাল মিছিল বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট, পল্টন মোড়, দৈনিক মোড় হয়ে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে এসে মুনাজাতের মাধ্যমে মিছিলটির সমাপ্তি ঘটে।