আওয়ার ইসলাম : চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সব দলের অংশগ্রহনে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন প্রয়োজন। দেশ ও জাতির কল্যান চাইলে সরকারকে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে জাতীয় নির্বাচনের গণদাবী মেনে নিতে হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্যে রোডম্যাপ ঘোষনা করেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু সরকার না চাইলে বা সহযোগিতা না করলে ইসির পক্ষে নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। তাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্যে রাজনৈতিক দলগুলার মধ্যে সংলাপ ও সমঝোতার উদ্যোগ নিতে হবে। সুষ্ঠু ও ভীতিহীন রাজনৈতিক ও নির্বাচনী পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার প্রথম সাধারণ অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্যে খেলাফত মজলিসের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক এসব কথা বলেন।
মাওলানা ইসহাক বলেন, মুসলমানদের পবিত্র স্থান মসজিদুল আকসায় ইহুদীবাদী ইসরাইলী আগ্রাসন বিশ্ব মুসলিম কোনভাবেই বরদাস্ত করবে না। ইহুদীবাদী আগ্রাসনের কবল থেকে মসজিদুল আকসা ও ফিলিস্তিন মুক্ত করতে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ইহুদীবাদী ইসরাইলের কবল থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস মুক্ত করা মুসলমানদের ইমানী দায়িত্ব।
আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় শাহজাহানপুরস্থ মাহববি আলী ইনস্টিটিউটে মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাকের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন নায়েবে আমীর- মাওলানা সৈয়দ মজিবর রহমান, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, অধ্যাপক এম কে জামান, মাওলানা আবদুল বাসিত আজাদ, যুগ্মমহাসচিব- এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, শেখ গোলাম আসগর, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক- ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শফিউল আলম, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা এ কে এম আইউব আলী, প্রশিক্ষন সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হালিম, এডভোকেট মিজানুর রহমান, মাওলানা নোমান মাযহারী, অধ্যাপক মো: আবদুল জলিল, অধ্যাপক কে এম আলম, আলহাজ্ব আবু সালেহীন, মাওলানা নূরুজ্জামান খান, কে এম নজরুল হক, মাওলানা নূরুল আলম আল-মামুন, মাস্টার সিরাজুল ইসলাম, তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, মাওলানা শামসুজ্জামান চৌধুরী, মাওলানা আবদুস সালাম চৌধুরী, ডা: আবদুল্লাহ খান, সৈয়দ মুহিবুর রহমান, মাওলানা ফরিদ আহমদ সিদ্দিকী, মাওলান রিয়াজূল হক কাসেমী, এবিএম সিরাজুল মামুন, ডা: শরীফ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক, মাস্টার আবদুল মজিদ, মাওলানা সৈয়দ মুশাহিদ আলী, অধ্যাপক বজলুর রহমান, মাওলানা আইউব আলী, হাফেজ মাওলানা জিন্নত আলী, মাওলানা আহমদ বিলাল, মাহবুব মোর্শেদ, মাওলানা আজিজুল হক প্রমুখ।
অধিবেশনে একটি শোক প্রস্তাব ও চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গ, বন্যা, পাহাড় ধ্বসে ক্ষতিগ্রস্থদের ত্রাণ ও পুনর্বাসন প্রসঙ্গ, চালের মূল্যবৃদ্ধি ও আর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অস্থিরতা প্রসঙ্গ, পাঠ্যপুস্তক ও পাঠ্যসূচী নিয়ে নাস্তিক্যবাদী ষড়যন্ত্র প্রসঙ্গ, ঢাকা মহানগরী ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা ও জনদুর্ভোগ প্রসঙ্গ, ফিলিস্তিনে ইসরাইলী বর্বরতা ও দেশে দেশে মুসলিম নির্যাতন প্রসঙ্গ এবং গো-রক্ষার নামে ভারতে নির্মমভাবে মুসলিম হত্যা-নির্যাতন প্রসঙ্গে ৭টি প্রস্তাব গ্রহীত হয়।
অধিবেশনে খেলাফত মজলিস যুক্তরাজ্য, রিয়াদ, জেদ্দা ও কুয়েত শাখার প্রতিনিধিসহ সারাদেশের ৬৫টি জেলা-মহানগরীর ডেলিগেটবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এতে শূরা সদস্যদের শপথ গ্রহন, কেন্দ্রীয় সংগঠন ও সারাদেশের শাখাসমূহের বিগত ৬ মাসের কাজের রিপোর্ট পেশ পর্যালোচনা হয়। চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির পর্যালোচনা করা হয় এবং আগামী ১৬- ৩১ অক্টোবর দেশব্যাপী গণসংযোগ কর্মসূচী ঘোষনা করা হয়।
এ ছাড়া ৫টি বিভাগীয় শহরে ওলামা সম্মেলনের কর্মসূচী ঘোষনা করা হয়। ওলামা সম্মেলনের তারিখ হলো- খুলনা বিভাগ ১৯ অক্টোবর, সিলেট- ৯ নভেম্বর, ঢাকা-৩০ নভেম্বর, বরিশাল ৭ ডিসেম্বর, চট্টগ্রাম ২১ ডিসেম্বর।
-এজেড