বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :

শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় আসতে হবে: শামীম উসমান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : আওয়ামী লীগকে হারানোর ক্ষমতা কেউ রাখে না, কেবল আওয়ামী লীগই রাখে। কারণ রাজপথ আর ত্যাগের মাধ্যমে গড়ে ওঠা এই দলের বহু ত্যাগী নেতা-কর্মী-সমর্থককে দলের কিছু স্বার্থবাদী তাঁবেদার দূরে ঠেলে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা এ কে এম শামীম ওসমান এমপি।

তাই জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় আসতে হবে আওয়ামী লীগের জন্য নয়, এ দেশের মানুষ  ও দেশকে বাঁচাতে হলে তাকে ক্ষমতায় আসতে হবে। নয় তো আবারও দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটবে, দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ লুটপাট হবে এবং দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাবে।

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় যথার্থই বলেছেন, শুধু উন্নয়ন কর্মকাণ্ডই প্রধান নয়, এর সঙ্গে প্রয়োজন সঠিক প্রচার। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, ’৭৫-পরবর্তী সময় এবং বিশেষ করে ২০০১-এর পর থেকে অধিকাংশ নিষ্ঠাবান সাংবাদিক ও সম্পাদকের ওপর অনেক মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করা হয়েছে, এমনকি অনেক পত্রিকার মালিককে জেল খাটতে হয়েছিল, তাদের সন্তানদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছিল। এসব সহ্য করেও যারা হাতে কলম ধরে রেখেছিলেন সেই লোকগুলোকে কিছুসংখ্যক তাঁবেদারের জন্য দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। সময় হয়ে গেছে তাদের বুকে টেনে নেওয়ার।

তাহলে তারা তাদের লেখনীর মাধ্যমে জামায়াত-বিএনপির ধ্বংসাত্মক রাজনীতির মুখোশ উন্মোচন করবেন। তাদের কৃতকর্ম সবার মাঝে তুলে ধরলে জনগণ তাদের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করবে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে গতকাল বিকালে দলের এক বিশেষ কর্মিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামীম ওসমান এসব কথা বলেন।

শহরের ইসদাইরে বাংলা ভবন কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত ওই কর্মিসভায় সভাপতিত্ব করেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল। সভায় ১ আগস্ট বিশাল শোক র‌্যালিসহ মাসব্যাপী নানা কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কর্মিসভায় ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ, বন্দর, শহরসহ আশপাশের বিভিন্ন থানা এলাকার শত শত নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামীম ওসমান বলেন, প্রশাসনের ‘কি পয়েন্টে’ স্বাধীনতাবিরোধীরা বসে আছে। এরা সময় হলে আঘাত করবে আর এদের সময় খারাপ হলে আমাদের আত্মীয় হয়ে যায়। এসব কারণে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ প্রশাসনের কর্তারা মনোকষ্টে দূরে সরে আছেন। তাই সময় হয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণের।

শামীম ওসমান বিএনপিকে উদ্দেশ করে বলেন, বিএনপির ভিতরে যে সবাই খারাপ তা নয়, বিএনপিতে দুটি শ্রেণি আছে। একটি শ্রেণি আছে যারা বঙ্গবন্ধুকে বঙ্গবন্ধুই বলতে চায় কিন্তু ভয়ে বলে না। আরেক শ্রেণি আছে যারা পুনরায় ২১ আগস্ট ঘটাতে চায়, ২০১৪ সালের মতো আগুনে পুড়িয়ে এ দেশের সাধারণ মানুষকে মারতে চায়। যারা দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে জাহাজ ভরে অস্ত্র নিয়ে আসে।

নির্বাচন প্রসঙ্গে শামীম ওসমান বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের দোসর আর আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যাকারী কোনো দলকে নির্বাচনে দাওয়াত দেওয়ার কোনো যৌক্তিক কারণ আমি খুঁজে পাই না। নির্বাচনে বিএনপি আসবে কি আসবে না অথবা তাদের নির্বাচনে নিয়ে আসার দায়িত আওয়ামী লীগের না। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের সময় হলে সবাইকে ডাকবে। সেখানে কে আসবে কে আসবে না তা নির্বাচন কমিশন বুঝবে। সভায় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা ছাড়াও বিভিন্ন থানা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও নাসিকের দলীয় কাউন্সিলররা বক্তব্য দেন।

-এজেড


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ