আওয়ার ইসলাম : বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী নারীর ৭০ ভাগই হয়রানির শিকার। দিন দিন সাইবার অপরাধ বেড়েই চলছে। অপরাধের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় বেড়ে যাওয়ায় স্কুলের হাজার হাজার মেয়েকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইতিমধ্যে একটি পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষন দেয়া হয়েছে ১০ হাজার ছাত্রীকে। যা ইন্টারনেটে হয়রানি বা ব্লাক মেইলের বিরুদ্ধে নিজেদেরকে রক্ষা করতে ছাত্রীদের সাহায্য করবে বলে মনে করেন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি(আইসিটি) বিভাগ সম্প্রতি একটি পাইলট প্রকল্পশেষ করেছে।যেটিতে শহর এলাকায়, অনলাইনে হুমকির মুখোমুখি হলে বা সাইবার হয়রানিথেকে কিভাবে নিজেদের সুরক্ষা করা যায় তা ছাত্রীদের শেখানো হয়। আইসিটির প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক মিডিয়াকে বলেছেন, ৪০টি স্কুল ও কলেজের ১০ হাজারছাত্রী ওই প্রকল্পে অংশ নেয়।
কর্মশালায় অংশ নেয়া ১৫ বছর বয়সী সাহনা মনে করে, সে ওই প্রশিক্ষণ থেকে উপকৃত হয়েছে।
বাংলাদেশে গত ১৫ বছর ধরে প্রতিবছর ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর মধ্যে প্রায় অর্ধেক কিশোরী ও নারী। যাদের মধ্যে প্রায় ৭০% সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
রাস্তায় মুসলিম নারীকে হেনস্থা, খুলে নেয়া হলো হিজাব!
মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ মিশুক চাকমা বলেন, ফেসবুক ব্যবহারকারী মেয়েদের পুরুষ সঙ্গী প্রায়ই তাদের ঘনিষ্ট ছবি বা ভিডিওর মাধ্যমে তাদের প্রতারিত করে।
তিনি বলেন, ‘যখন তাদের সম্পর্ক থাকে না, তখন তাদের সাবেক প্রেমিকরা সামাজিক মাধ্যমে ছবি এবং ভিডিও পোস্ট করে মেয়েদের মানসিকভাবে ব্ল্যাকমেইল করে। এই ধরনের ছবি এবং ভিডিও প্রায়ই নতুন সম্পর্কের মধ্যে বা বিবাহিত হওয়ার পর মেয়েদের জীবনে অশান্তি তৈরী করে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে অনেক বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে সমস্যার সৃষ্টি হয় এবং কিছু ক্ষেত্রে মেয়েরা আত্মহত্যা করার মতো চরম পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।’
-এআরকে