আওয়ার ইসলাম : আজ বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর এক সভায় অনিবার্যকারণে ৫ ডিসেম্বর ঢাকাস্থ মিয়ানমার দূতাবাস অভিমূখে বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসুচী পরিবর্তন করে ৬ ডিসেম্বর নেয়া হয়েছে।
সভায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, মিয়ানমার সরকার রাখাইন রাজ্যে গণহত্যার মাধ্যমে মুসলিম শূণ্য করার অপরিণামদর্শি খেলায় মেতে উঠেছে। গণহত্যার মাধ্যমে বর্মী জান্তারা এবং অং সান সুচি বিশ্বসন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত হবে। ইতিহাসের ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ ও নির্মমতা এবং বিশ্বব্যাপী মানবতা ভুলুন্ঠিত হলেও জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো এব্যাপারে কোন কার্যকরি ভুমিকা রাখতে পারছে না। এ বর্বরতা বন্ধ না করলে দেশপ্রেমিক ঈমানদার জনতা মিয়ানমার মুসলিম জনতাকে রক্ষায় লংমার্চ কর্মসুচীর মাধ্যমে তাদের পাশে দাড়াবে। সভায় অনিবার্যকারণে ৫ ডিসেম্বর ঢাকাস্থ মিয়ানমার দূতাবাস অভিমূখে বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসুচী পরিবর্তন করে ৬ ডিসেম্বর নেয়া হয়। বাকী কর্মসুচী অপরিবর্তিত থাকবে।
কর্মসূচীগুলো হলো : ৬ ডিসেম্বর ঢাকাস্থ মিয়ানমার দূতাবাস অভিমুখে বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান, ৯ ডিসেম্বর দেশব্যাপী জেলায় জেলায় বিক্ষোভ এবং ১৮ ডিসেম্বর ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬ মিয়ানমার অভিমুখে লংমার্চ। তারপরও গণহত্যা বন্ধ না হলে পরবর্তী কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে।
আজ বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর এক সভায় টেলিকনফারেন্সে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ-এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, যুগ্ম মহাসচিব-অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন ও মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারী মহাসচিব আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, সহ-প্রচার সম্পাদক মাওলানা নেছার উদ্দিন, সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি হেমায়েতুল্লাহ, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব হারুনুর রশীদ, ঢাকা দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, ঢাকা উত্তর অধ্যক্ষ শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী, প্রিন্সিপাল মাওলানা কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াদুদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, এ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান শেখ প্রমুখ। সভায় লংমার্চ বাস্তবায়নে অধ্যক্ষ মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহকে বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক করা হয়। লংমার্চ বাস্তবায়নে অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদকে সদস্য সচিব করে কয়েকটি উপকমিটি গঠন করা হয়।
অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেন, মিয়ানমারে অব্যাহত মুসলিম গণহত্যা, নারী ও শিশুদের ধর্ষণ ও বাড়ী-ঘরে অগ্নিসংযোগ এবং রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেয়াসহ সকল নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশের প্রধানমন্ত্রীকে মিয়ানমারে গণহত্যা বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে হবে।
আআ