আওয়ার ইসলাম: হজে নেয়ার কথা বলে সৌদি আরবে মানবপাচার করছেন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) শীর্ষ নেতারা। এমনটাই অভিযোগ করেছে হজ ওমরাহ্ এজেন্সিস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।
রবিবার (২১ আগস্ট) রাজধানীর রিপোর্টার্স ইউনিটির গোলটেবিল মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ আনা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হাব সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল নাসের বলেন, ‘হজ ও ওমরা হজের নামে হাবের বর্তমান সভাপতি ইব্রাহিম বাহার ও মহাসচিব শেখ আব্দুল্লাহসহ একটি চক্র মানবপাচার করছে। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হলেও মূল অপরাধীরা এখনো অধরা।’
তিনি বলেন, ‘২০১৫ সালের ২২ মার্চ সৌদি সরকার বাংলাদেশ থেকে ওমরাহ হজের সুযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে ওই বছরের ১০ আগস্ট দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ১০৪টি হজ এজেন্সি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ এনে চিঠি দেয়। ওই চিঠিতে হাবের সভাপতি, মহাসচিবসহ ১২ নেতা ও সদস্যের নাম ছিল। পরে ওমরাহ হজে মানবপাচারের অভিযোগ এনে ধর্ম মন্ত্রণালয় ৯৫টি হজ এজেন্সিকে শাস্তি দেয়। এর মধ্যে হাব সভাপতি ও মহাসচিবের এজেন্সিও রয়েছে। কিন্তু তারা এখনও হাবের কমিটিতে রয়েছেন। ফলে সেখানে বসে তারা সব ধরনের অনিয়ম করছেন।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘হাব সভাপতি ও মহাসচিব তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছিলেন- হাজিদের জন্য তারা একটি ট্রলি ব্যাগ সরবরাহ করবেন। পরে তারা যে ব্যাগ হাজিদের দিয়েছেন তা ছিল খুবই নিম্নমানের, যার দাম এক হাজারের বেশি হবে না। অথচ ৯৬ হাজার ২৫২ হজ যাত্রীর ট্রলি ব্যাগে তারা প্রায় ১০ কোটি টাকা খরচ দেখিয়েছেন।’
হাবের বর্তমান কমিটি বাতিল করে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন হাবের সাবেক সভাপতি জামাল উদ্দীন আহম্মদ, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি কেএইচএম তাজুল ইসলাম, বর্তমান সদস্য মো. বশির আহম্মদ প্রমুখ।