ঢাকা : গুলশান ৭৯ নম্বর সড়কে হলি আর্টিজান বেকারির ৪ কিলোমিটার এলাকা ঘিরে রেখেছে প্রায় ১০ হাজার আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। রাত নয়টায় সন্ত্রাসীদের হানা দেয়ার পর এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত রেস্তোরাঁর ভেতরে বা এর গলির মধ্যে এখনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ ঢুকতে পারেনি।
সেখান থেকে কিছু ক্ষণ পর পর আসছে গুলির শব্দ। ভেতরে দেশি-বিদেশি বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষ জিম্মি হয়ে আছেন। আল জাজিরা নিজস্ব প্রতিবেদকের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, কমপক্ষে ১৮ জন ব্যক্তি জিম্মি রয়েছে। ঘটনাস্থলের আশপাশে ব্যাপক পুলিশ-র্যাব, সোয়াত, ডিবি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। তাঁরা প্রত্যেকই বুলেট প্রুফ জ্যাকেট এবং বিশেষায়িত ইউনিটগুলোর সদস্যরা গ্রেনেড শিল্ড, বুলেট শিল্ড, দরজা ভাঙার জিনিসপত্র ও ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘটনাস্থলে রয়েছেন।
রীতিমতো ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে গুলশান, বনানী, বারিধারার কূটনৈতিক ও আবাসিক এলাকায় সবাই নিচু শব্দে কথা বলছে। মাঝে মাঝে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বুটের খটখট শব্দ শোনা যাচ্ছে। মাঝে মাঝে কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স ও অন্যান্য গাড়ি গেলেই গাড়ির আলো নিভিয়ে চলতে বলা হচ্ছে।
গুলশানে গোলাগুলি ও বোমা হামলায় অংশ নিয়েছে ৮-১০ জন যুবক। পুলিশের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ওই যুবকরা পিঠে ব্যাগ নিয়ে “আল্লাহু আকবর” শ্লোগান দিয়ে হামলা চালায়। অসমর্থিত একটি সূত্রে জানা গেছে, ১ জন বিদেশি নাগরিক মারা গেছে। কমপক্ষে ১০ জন পুলিশ গুলিবিদ্ধ। ব্যাবের মেজর এবং বনানী থানার ওসিসহ কমপক্ষে ২৫ জন পুলিশ গুলিবিদ্ধ। এছাড়া ভেতরে আটকা পড়ে আছেন বেশ কয়েকজন বিদেশি।
র্যাব মহাপরিচালক বলেছেন, ভেতরে যারা আটকা পড়েছেন তাদের বেশিরভাগই বিদেশি নাগরিক। তাদের উদ্ধারের জন্য অভিযান চালানো প্রয়োজন যা সরাসরি দেখানো সম্ভব নয়। গুলশান এলাকায় নিরাপত্তা বেষ্টনী জোরদার করা হয়েছে। কোনো গাড়িকে চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। যেখানে যে গাড়ি রয়েছে তা সেখানেই থামিয়ে রাখা হয়েছে। সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
/আরআর