নিজস্ব প্রতিনিধি : মসজিদের টাকা কালেকশনে গিয়েছিলেন এলাকায়। প্রবেশ করেছিলেন এক বাড়িতে। ঘটনাক্রমে বাড়িটি ছিল ফাঁকা। এই সুযোগে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে পিতা-পুত্রকে একসঙ্গে কানে ধরিয়ে উঠবস করায় এলাকাবাসী।
ভয়ানক ও লজ্জাজনক ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহী জেলার তানোর উপজেলায়। গত মঙ্গলবার আয়োজিত এক সালিশ বৈঠকে কঠোর গোপনীয়তায় পিতা সাবেক মেম্বর ওসমান আলী ও তার ছেলে মতিউর রহমানকে এই শাস্তি দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়।
জানা যায়, উপজেলার তালন্দ ইউপির সাবেক মেম্বর নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা ওসমান আলী ও তার ছেলে মতিউর রহমান প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকালে মসজিদের সাহায্য চাইতে কামারগাঁ ইউপির পাড়িশো গ্রামের শফু মন্ডলের বাড়িতে যান। এসময় বাড়িতে কোনো লোকজন ছিল না। পরে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে পিতা-পুত্রকে আটকে রেখে মারপিট করা হয়। বুধবার সকালে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দিনের উদ্যোগে সালিশ বৈঠকে তাদের চুরির অপবাদ স্বীকারসহ প্রকাশ্যে চড়-থাপ্পড় দিয়ে পিতা-পুত্রকে একসঙ্গে ১০ বার কান ধরে উঠবস করতে বাধ্য করানো হয়। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে কামারগাঁ ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ঘটনাটি জানার পর তিনি থানা পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ আসার আগেই স্থানীয় লোকজন গণধোলাই দিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করার কথা বললে অভিযুক্তের স্ত্রী কান্নাকাটি শুরু করেন। ফলে স্থানীয় লোকজনের চাপে তাকে কান ধরে উঠবস করিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তানোর থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) শামসুল হক জানান, স্থানীয় লোকজন ও চেয়ারম্যান পুলিশ যাবার আগেই কথিত চোরের বিচার শেষ করেন। চেয়ারম্যানের সম্মান রক্ষায় তিনি তাদের আটক করেননি।
আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম /আরআর