আবদুল্লাহ তামিম : জীবনের অপর নাম কর্ম। আর কর্মই মানুষের জীবন সুভাসিত করে। মানুষের জন্য তার কর্মক্ষেত্র বড় একটা স্থান। এখানে সফল হতে হলে প্রথমে নিজের কি অবস্থান রয়েছে তা ভালো করে অনুধাবন করা উচিত। নিজের ব্যক্তিত্বকে প্রকাশ ঘটাতে পারলে সফল হতে বেশি সময় লাগবে না।
কর্মক্ষেত্রে সফলতার ক্ষেত্রে বেশ কিছু উপাদান কাজ করে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ইতিবাচক মনোভাব। একজন কর্মী তার কর্মক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন ও সহকর্মীর সাথে যত বেশি আন্তরিক হতে পারবেন কর্মক্ষেত্রে তিনি ততবেশি সফল হবেন। নিজের দায়িত্বটা আগ্রহ ও একাগ্রতার সাথে বুঝে নিয়ে যথাযথভাবে কাজটা সম্পন্ন করতে হবে। যে কোন কাজ ঊর্ধ্বতনের কাছ থেকে সঠিকভাবে বুঝে নিতে হবে যাতে করে বস আপনার উপর আস্থা রাখতে পারেন, নির্ভর করতে পারেন। এরপর সহকর্মী কিছু জানতে চাইলে বা শেয়ার করতে চাইলে আপনি আন্তরিকতার সাথে সেটি শুনবেন, তাকে সঠিক তথ্যটি দেওয়ার চেষ্টা করবেন। যদি আপনার না জানা বিষয়ে জানতে চায় সেক্ষেত্রে বিনয়ের সাথে তাকে বিষয়টি বুঝিয়ে বলুন। কোন ভুল তথ্য না দেওয়ার চেষ্টা করবেন। আবার কর্পোরেট অফিসে কাজের চাপ সবসময়ই বেশি থাকে এর জন্য নিজেকে সবসময় প্রস্তুত রাখতে হবে। যদি মনে হয় আপনাকে অতিরিক্ত কাজ চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে আপনি কাজের একটা তালিকা করে সে অনুযায়ী কাজ করতে পারেন। যদি তা সম্ভব না হয় তবে অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে বিনয়ের সাথে বিষয়টি আলোচনা করতে পারেন।
কয়েকটি বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে খেয়াল রাখবেন
১. নিজের ব্যক্তিত্ব বজায় না রাখতে পারলে আপনি কোন ক্ষেত্রেই নিজের অবস্থান ধরে রাখতে পারবেন না। সব ক্ষেত্রে গুরুত্বহীন হয়ে পড়বেন। অন্যের অবহেলার পাত্রে পরিণত হবেন। এ জন্য নিজের ব্যক্তিত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করুন। এতে আপনার সম্মান বাড়বে। সেই সাথে সফলতা ধরা দিতে বাধ্য। স্মার্ট হবেন তবে প্রতিষ্ঠানে কখনোই নিজের চঞ্চলতা প্রকাশ করবেন না। এটি অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পছন্দ নাও হতে পারে। আবার অতিরিক্ত ভাবগাম্ভীর্যও অনেক সময় হিতে বিপরীতও হতে পারে।
২. মানুষের চরিত্রের দুটি বিশেষ দিক থাকে। একটি অন্তর্মুখী অন্যটি বহির্মুখী। কেউ কম জানলেও নিজেকে জাহির করতে চান। কেউ কাজের মধ্যে দিয়ে নিজেকে তুলে ধরতে চান। আপনি যদি অন্তর্মুখী হয়ে থাকেন, আপনার ঊর্ধ্বতন বা সহকর্মীকে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে কার্পণ্য করবেন না। কেউ আপনার কাছ থেকে যে বিষয়টি জানতে চাইবে সেটি যথার্থভাবে জানানোর চেষ্টা করুন। এতে আপনার ব্যক্তিত্ব বিকশিত হবে। আবার কোন বিষয়ে ভালোভাবে না বুঝলে নিজেকে জাহির করতে যাওয়ার ঝুঁকি নেবেন না। এতে বিপত্তি ঘটতে পারে। বরং নিজের চরিত্রের দুর্বল দিকগুলো ইমপ্রুভ করার চেষ্টা করুন।
৩. আপনি সব জানবেন এমন কোন কথা নেই। ধরুন আপনি ইংরেজিতে ভালো যোগাযোগ করতে পারেন না। কিন্তু আপনি যদি এ দুর্বলতা অফিসকে বুঝার সুযোগ দেন তবে সমস্যায় পড়তে পারেন। আপনার সহকর্মীরা আপনাকে তুচ্ছ মনে করতে পারে। আড়ালে হাসাহাসি করতে পারে। যে দিকে দুর্বলতা থাকে কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করুন। সবচেয়ে বেশি খেয়াল রাখবেন সততা আর নিষ্ঠা। যা আপনার জীবনে সফলতা ছিনিয়ে আনবে।