খেলাফত মজলিসের নেতৃবৃন্দ গভীর উদ্বেগের সাথে বলেন, বাংলাদেশের ট্রানশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের মধ্য দিয়ে ভারত চিরাচরিত অপ্রতিবেশীসুলভ আচরণ করেছে। ভারতকে মনে রাখতে হবে, তার উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্যে পণ্য পরিবহনে বাংলাদেশের ট্রানজিট সুবিধা প্রয়োজন। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যে, অবিলম্বে ভারত যদি ট্রানশিপমেন্ট সুবিধা পুনর্বহাল না করে, তাহলে বাংলাদেশের অভ্যন্তর দিয়ে তার সকল ট্রানজিট সুবিধা বাতিল করতে হবে।
গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
বৈঠকে আরো বলা হয়, বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে হিন্দু শাস্ত্রে বর্ণিত উৎসব ‘চৈত্রসংক্রান্তি’ পালনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন সরকারি/আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানকে বাধ্য করার অধিকার সরকারের নেই। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের বাংলাদেশে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হবে চিরায়ত মুসলিম বাংলার ঐতিহ্যের আলোকে। অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা তাদের নিজস্ব পরিম-লে ধর্মীয় আচার উদযাপন করতে পারে।
সার্বজনীনতার নামে পহেলা বৈশাখে বিভিন্ন অপসংস্কৃতি মুসলমানদের উপর চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। আরবের হিজরি সনকে অনুকরণ করে ভারতের মুসলিম সম্রাট ও জোতির্বিদের উদ্ভাবিত বাংলা সন উদযাপনে কোন প্রকার অনৈসলামিক কার্যক্রম বরদাশত করা হবে না। সরকারকে অবিলম্বে চৈত্র সংক্রান্তি বাধ্যতামূলক পালনের নির্দেশনা প্রত্যাহার করতে হবে।
এসময় বৈঠক থেকে নেতৃবৃন্দ দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ এর শুভেচ্ছা জানান।
বৈঠকে ১২ এপ্রিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘মার্চ ফর গাজা’ সফলের আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, গাজায় গণহত্যা বন্ধ ও ইসরাইলকে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য আন্তর্জাতিক বিশ্বকে তাদের নৈতিক দায়িত্বপালন
করতে হবে। বিশ্বজুড়ে ইসরাইলী পণ্য বয়কট করা এবং মদদদাতা রাষ্ট্রসমূহের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখতে হবে।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন অবিলম্বে শুরু করতে অন্তবর্তীকালীন সরকারের জোর তৎপরতা দাবি করছি।
গতকাল অনুষ্ঠিত বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন আমীরে মজলিস মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ। মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত নির্বাহী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, মাওলানা সৈয়দ ফেরদাউস বিন ইসহাক, যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিজানুর রহমান, অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, বায়তুলমাল সম্পাদক আলহাজ্ব আবু সালেহীন, সমাজকল্যাণ ও শিল্পবিষয়ক সম্পাদক আমিনুর রহমান ফিরোজ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রিফাত হোসেন মালিক, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক প্রভাষক আবদুল করিম, যুব বিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, মুফতি আবদুল হক আমিনী, অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, আলহাজ¦ নুর হোসেন, মাওলানা নুরুল হক, মাওলানা নুরুল আমিন, আবুল হোসেন, প্রিন্সিপাল মাওলানা আজিজুল হক, আমির আলী হাওলাদার প্রমুখ।
এমএইচ/