ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, কার্যকর রাষ্ট্রে কোন ক্ষেত্রেই ‘মব’ সংস্কৃতি গ্রহণযোগ্য নয়। সেই নীতিতে গতকাল বইমেলায় যা হয়েছে তাও সমর্থনযোগ্য নয়। একই সঙ্গে এই প্রশ্নও করা জরুরী যে, তসলিমা নাসরিনের মতো একজন লেখিকা যার দেশদ্রোহীতা ও সমাজবিরুদ্ধতা বারংবার প্রমাণিত এবং যে পতিত ফ্যাসিবাদের পক্ষের নির্লজ্জ যোদ্ধার ভূমিকা পালন করছে তার বই কি করে বই মেলায় প্রকাশিত হতে পারে?
আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, কোন সাহসে একটা প্রকাশনী তসলিমার মতো ব্যক্তির বই ছাপাতে পারে সেই প্রশ্ন করাও জরুরি।
তিনি বলেন, গতকাল যা হয়েছে তা প্রতিক্রিয়া। সেই প্রতিক্রিয়ার ধরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলা যেতে পারে তবে তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো, এমন উস্কানীমূলক ক্রিয়া তৈরি হলো কেন? এই প্রশ্নের সমাধান না করে ‘তৌহিদী জনতা’কে শায়েস্তা করার হুমকি দেয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে সহজ কাজ হলো ইসলামকে আঘাত করা। অতিতে বারবার ইসলামের বিরোধীতা করে অনেক লোক পার পেয়েছে। ফলে ইসলাম ও দেশ বিরুদ্ধতার কোন ঘটনা ঘটলে জনতা রাষ্ট্রের প্রতি হতাশা থেকেই নিজেরা তা সমাধান করতে অগ্রসর হয়। গতকালের ঘটনাও তারই ধারাবাহিকতা।
মাওলানা ইউনুছ আহমাদ আরও বলেন, এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, গতকালের ঘটনার পরে একজন উপদেষ্টা যে ভাষায় কথা বলেছেন এবং যেভাবে জনতার একটা অংশকে বর্গায়িত করে ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়েছেন তা “জনতন্ত্রের” ধারণার সাথে সাংঘর্ষিক। নতুন বাংলাদেশের কোন উপদেষ্টা থেকে এমন আচরণ আমাদেরকে আশাহত করে। আমরা বলবো, আইনের প্রতি আস্থাশীল করতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নাই। ফলে সেই কাজে মনোযোগী হোন। মানুষ যাতে রাষ্ট্রের প্রতি নির্ভর করতে পারে সেই পরিবেশ তৈরি করুন।
এমএইচ/