আলেমদের বাংলাদেশের মূলধারার গণমাধ্যমে কখনো তুলে ধরা হয় নাই বলে মন্তব্য করেছেন আমার দেশ এর সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। সোমবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় তিনি আরো বলেন, তথাকথিত এলিট মিডিয়া দেশের আলেমদের প্রাপ্য মর্যাদা দেয়নি। আমার দেশ সেই বৃত্ত ভেঙ্গে দিয়েছে। আমরা ৪৩ দিন ধরে আলেমদের নির্যাতনের ইতিহাস বর্ণনা করেছি।
বক্তব্যের শুরুতে তিনি জুলাই অভ্যুত্থানের প্রতিটি সৈনিকের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, তরুণরা যদি বিপ্লব না করত তাহলে আমি আপনাদের সামনে কথা বলতে পারতাম না। আমার দেশ নতুন করে প্রকাশিত হত না। তাই আমি জুলাই বিপ্লবে শহীদ ও আহত সকলকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
এসময় তিনি সাংবাদিকতার চারটি চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন। কর্পোরেট মালিকানা, বিজ্ঞাপন, রাজনৈতিক দলের সমর্থন ও সরকারি চাপকে সঠিক সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেন। আমার দেশ এই সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে বলেও জানান।
তিনি অতীতের স্মৃতিচারণ করে বলেন, চারমাস আমি অফিসে বন্দী ছিলাম। কারণ আমার কাছে খবর ছিল আমাকে গুম করা হতে পারে। তাই গ্রেফতার করলেও যাতে গুম করতে না পারে সেজন্য আমি অফিসে ছিলাম। এসময় আর্মি একটি সংবাদ সম্মেলন করে বলে একটি সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা করা হয়েছে যার সাথে মাহমুদুর রহমান জড়িত। আমি তখন খোলা চিঠি লিখি তাদের উদ্দেশ্যে বলি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার যে দায়িত্ব বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছিল-তা আমার দেশ গ্রহণ করেছে কারণ আপনারা ব্যর্থ হয়েছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষায়।
এসময় তিনি তরুণ প্রজন্মের প্রশংসা করে বলেন, আমি যে তরুণদের ভেবেছিলাম ফেসবুকে মত্ত, যারা স্মার্ট ফোন ছাড়া কিছু বোঝে না, সেই তরুণ বুকের রক্ত দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা উদ্ধার করেছে। স্বৈরাচারকে তারা দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। আমি বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখতে পাই। জুলাই বিপ্লবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বীরোচিত ভূমিকা ছিল।
এসময় তিনি শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, শেখ হাসিনা আমাকে এই মাহমুদুর রহমান বানিয়েছে। আমি আধা এলিট ছিলাম। সেই এলিট মাহমুদুর রহমানকে সাধারণ মাহমুদুর রহমান করেছে শেখ হাসিনা।
উল্লেখ্য, জাবি প্রেসক্লাবের দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান, উপ-উপাচার্য প্রশাসন অধ্যাপক সোহেল আহমেদসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও শিক্ষকবৃন্দ।
হাআমা/