রংপুর ব্যুরো
স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, সীমান্তে কোনো প্রকার আতঙ্ক নেই। আপনারা গুজবে কান দেবেন না। যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য সরকার সবসময় প্রস্তুত রয়েছে।
সোমবার রংপুর পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজ অডিটোরিয়ামে রংপুর বিভাগের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এবার পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে কোনো দুর্নীতি হয়নি। যদি আপনাদের কাছে নিয়োগে দুর্নীতির কোনো সুস্পষ্ট অভিযোগ থাকে তাহলে আমাকে জানালে আমি ব্যবস্থা নেব।
কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আলু বীজ আসে নেদারল্যান্ড এবং ব্র্যাক ও বিএডিসি থেকে। এর মধ্যে নেদারল্যান্ডের বীজ সবচেয়ে ভালো। সরকার গত বছর তিন হাজার মেট্রিক টন আলু বীজ আমদানি করেছিল। এবার আরও বেশি বীজ আমদানি করা হবে। এসময় দেশে রাসায়নিক সারের কোনো সংকট নেই বলে জানান তিনি।
উপদেষ্টা আরও বলেন, একসময় রংপুরকে দুর্ভিক্ষের এলাকা বলা হতো। রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহীতে এখন প্রচুর কৃষিপণ্য উৎপাদিত হয়। এসব অঞ্চলের উদ্বৃত্ত কৃষিপণ্য দেশের অন্যান্য অঞ্চলের ঘাটতি পূরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
এর আগে সকালে রংপুরের পীরগঞ্জে মদনখালী ইউনিয়নের জাফরপাড়ার বাবনপুর গ্রামে যান উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সেখানে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদের কবর জেয়ারত করে তার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে খোঁজখবর নেন। পরে তিনি আবু সাঈদের এলাকার শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।
পীরগঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের মিডিয়া বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। একমাত্র আপনারাই এর বিরুদ্ধে কাউন্টার সত্যটা তুলে ধরতে পারেন। আপনারা সত্য ঘটনা প্রকাশ করে তদের (ভারতীয় মিডিয়া) মিথ্যা প্রচার বন্ধ করে দিতে পারেন। এর জন্য আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করব। তাহলে যারা অপপ্রচার করছে তাদের মুখে চুনকালি পড়বে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ইসকন নিষিদ্ধের ব্যাপারে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। কিছু হলে জানতে পারবেন। কোনো মামলায় হয়রানিমূলকভাবে কাউকে জড়ানো হলে ভুক্তভোগী অবশ্যই ছাড়া পাবেন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঘিরে যারা মিথ্যা মামলা দিচ্ছেন তাদেরও আইনের আওতায় নেওয়া হবে জানিয়ে উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, মিথ্যা মামলায় যেন কাউকে শাস্তি ভোগ করতে হবে না, এ ব্যবস্থাও আমরা নিচ্ছি। এ জন্য পুলিশের পাশাপাশি ডিসিদের সমন্বয়েও কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এসময় বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, র্যাবের মহাপরিচালক একেএম শহিদুর রহমান, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।