বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্য বিরোধী শিক্ষক ফোরামের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাসিম বানু। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর তিনি তার পদত্যাগ পত্র জমা দেন।
অন্যদিকে ভিসি অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ূন আক্তার , প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাহ্মুবা নাসরিন , ট্রেজারার অধ্যাপক মোস্তফা আজাদ কামাল এবং রেজিস্ট্রার ড. মো: শফিকুল আলম পদত্যাগ না করায় আজকেও ভিসির দপ্তরের সামনে বৈষম্য বিরোধী শিক্ষক ফোরামের শিক্ষকবৃন্দ মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে আবারও অনতিবিলম্বে তাদেরকে পদত্যাগের আহবান জানানো হয়। স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে তাদেরকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাউবি'র বৈষম্য বিরোধী শিক্ষক ফোরামের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মো: মঈনুল ইসলাম এবং সমন্বয়ক অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম।
উল্লেখ্য যে স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর থেকেই বাউবি'র ভিসি, প্রো-ভিসি (শিক্ষা) এবং রেজিস্ট্রার গা ঢাকা দিয়ে আছেন। আত্মগোপনে থেকেই ভিসি ট্রেজারারের সাথে আঁতাত করে বাউবি'র ফান্ড থেকে কোটি কোটি টাকা লোপাট করা এবং নতুন করে স্বৈরাচারের দোসরদেরকে শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছেন বলে জানা গেছে। মানবতাবিরোধী অপরাধ ও জুলাই গণহত্যাকে সমর্থন করা, কোটা আন্দোলনে বিরোধিতা করে বক্তৃতা-বিবৃতি দেওয়া, বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতি এবং বৈষম্য মূলক কাজের অভিযোগে বৈষম্য বিরোধী শিক্ষক ফোরাম তাদের পদত্যাগ দাবি করে আসছিলেন। অব্যাহত আন্দোলনের মাথায় পদত্যাগ করলেন প্রো-ভিসি ড. নাসিম বানু। আন্দোলনের সমন্বয়ক প্রফেসর আমিরুল ইসলাম তার এ পদত্যাগকে নিজেদের প্রাথমিক বিজয় হিসেবে দেখছেন এবং স্বৈরাচার ও দালালমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় গঠনে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন। একইসাথে জুলাই গণহত্যার শহীদদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে এই প্রশাসনের স্বপদে বহাল থাকার কোন নৈতিক অধিকার নেই বলে জানান। তাই দ্রুত পদত্যাগ করে বিশ্ববিদ্যালয়কে কলংকমুক্ত করার জোর দাবি জানান।