শনিবার, ২৫ জানুয়ারি ২০২৫ ।। ১০ মাঘ ১৪৩১ ।। ২৫ রজব ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জামিয়া ইউনুছিয়ায় যাচ্ছেন সাইয়েদ আরশাদ মাদানী পয়ামে ইনসানিয়াতের জাতীয় দাওয়াহ সম্মেলন অনুষ্ঠিত পিআর পদ্ধতি কী? কেন চাচ্ছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে কাল ইসলামী আন্দোলনের নগর সম্মেলন ‘কোনো মুসলমান ধর্ম নিরপেক্ষ মতবাদ অনুসরণ করতে পারে না’ ‘জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত করতে না পারলে গণ-অভ্যুত্থানের সুফল স্থায়ী হবে না’  কাল ভোলায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন জুলাই অভ্যুত্থানে হামলা, চবিতে বহিষ্কৃত ৮৪ শিক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশ আগামি নির্বাচনে ইসলামের পক্ষে একক বাক্স দেয়ার প্রচেষ্টা চলছে: চরমোনাই পীর পীর সাহেব মধুপুরকে দেখতে হাসপাতালে বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস

দিল্লি সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ভারতে দ্বিপক্ষীয় সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দিল্লি সফর নিয়ে মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকালে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এ সফর ছিল সংক্ষিপ্ত কিন্তু অত্যন্ত ফলপ্রসূ। আমি মনে করি, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে এ সফর সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বিগত ১৫ বছরে অনন্য উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে, যার সুফল ভোগ করছে দুদেশের জনগণ। বিশেষ করে ২০২৩ সালে দুদেশের সম্পর্কে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, এ সফরে ভারতের নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল নবনির্বাচিত দুটি সরকার কীভাবে সহযোগিতামূলক সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, সে বিষয়ে একটি রূপকল্প প্রণয়ন। যেহেতু নতুন সরকার গঠনের মাধ্যমে ঢাকা ও দিল্লি নতুনভাবে পথচলা শুরু করেছে, সে ধারাবাহিকতায় ‘রূপকল্প ২০৪১’ এর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা এবং ‘বিকশিত ভারত ২০৪৭’ নিশ্চিত করার জন্য ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করার বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি।

ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও নিকটতম প্রতিবেশী, বিশ্বস্ত বন্ধু এবং আঞ্চলিক অংশীদার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারে সফরে দুই দেশের মধ্যে পাঁচটি নতুন সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত ও বিনিময় হয়েছে এবং তিনটি নবায়িত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত ও বিনিময় হয়েছে। এছাড়া দুটি রূপকল্প ঘোষণা স্বাক্ষরিত ও বিনিময় হয়েছে। এছাড়া বৈঠকে ভবিষ্যতের কাজের ক্ষেত্র হিসেবে ১৩টি যৌথ কার্যক্রমের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, রাজশাহী ও কলকাতার মধ্যে নতুন ট্রেন পরিষেবা চালু হবে। চট্টগ্রাম ও কলকাতার মধ্যে নতুন বাস পরিষেবা চালু হবে। এছাড়া গেদে-দর্শনা এবং হলদিবাড়ি-চিলাহাটির মধ্যে দলগাঁও পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রেন পরিষেবা চালু হবে। এতে দুদেশের মধ্যে যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আরও বাড়বে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ থেকে ভারতে চিকিৎসার জন্য যাওয়া রোগীদের ক্ষেত্রে ই-ভিসা চালু হবে এবং রংপুরে ভারতের নতুন সহকারী হাইকমিশন প্রতিষ্ঠা করা হবে। এতে মুমূর্ষু রোগীদের ভিসা আগের চেয়ে দ্রুত প্রক্রিয়াকরণ করা যাবে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে ভ্রমণ করা যাবে।

তিনি বলেন, গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি নবায়ন ও বাংলাদেশের তিস্তা নদীর পানি ব্যবস্থাপনা এবং পানি সংরক্ষণের প্রকল্পে ভারতের সহায়তার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

এছাড়া অনুদান সহায়তার আওতায় সিরাজগঞ্জে ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো (আইসিডি) নির্মাণ বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় গ্রিডের মাধ্যমে নেপাল থেকে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে, যার মাধ্যমে আঞ্চলিক বিদ্যুৎ সহযোগিতা আরও বাড়বে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে গত ২১-২২ জুন দেশটির রাজধানী নয়াদিল্লি সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দ্বিপক্ষীয় এ সফরে তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করেন।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ