দামের অস্থিরতায় আবার আলোচনায় ডিমের বাজার। ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজার মনিটরিং কমিটি শুধু কাগজেই। খোদ বিক্রেতারা জানালেন, ডিমের বাজারে নেই কারো মনিটরিং। ফলে ইচ্ছেমতো দাম বেঁধে দেয় সিন্ডিকেট৷ আর সিন্ডিকেটের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সমঝোতা রয়েছে বলেও তাদের অভিযোগ।
এক ডিম ব্যবসায়ী বলেন, অনেক খামারি মুরগী বিক্রি করে দিচ্ছেন। এজন্য ডিমের উৎপাদন কম। যে কারণে দামও বেশি। আবার মাঝে চাহিদা কম ছিলো। এখন চাহিদা বেশি। উৎপাদন কম। তাই দামও বেশি।
এই সপ্তাহে এক লাফে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা বেড়ে ফার্মের বাদামি ডিমের দাম প্রতি ডজনে ১৪৫ টাকা হয়েছে। এলাকাভেদে কোথাও কোথাও এর বেশি দামেও বিক্রি হচ্ছে ডিম।
ক্রেতারা বলছেন, আবহাওয়াকে অজুহাত করে আবারও ডিম ও মুরগির বাজারে কারসাজি করছে অসাধু চক্র। মজুত করে তারা বাজার অস্থির করছে। সরবরাহ কমিয়ে বাড়িয়েছে দাম।
এক ক্রেতা বলেন, আইন আছে কিন্তু প্রয়োগ নেই। এখানে ঠিমেো প্রয়োগ করুক। দেখবেন সব ঠিক হয়ে যাবে।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ১৫ মার্চ যে ২৯টি পণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছিলো, তাতে একটি ডিমের খুচরা দাম নির্ধারণ করা হয় ১০ টাকা ৪৯ পয়সা। বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের (বিপিআইসিসি) গত বছরের তথ্যানুযায়ী, দেশে সাধারণত প্রতিদিন চার কোটি ডিম উৎপাদিত হয়। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবে, উৎপাদনের পরিমাণ আরেকটু বেশি।
ব্যবসায়ীরা জানান, দাম বেঁধে দিলেও গত কয়েক মাসে তদারকিতে আসেনি কৃষি বিপণন অধিপ্তরের কেউই। এই কারণে এখনো ইচ্ছে মতো ডিমের দাম ঠিক করে দিচ্ছে সমিতি।
এক ক্রেতা বলেন, আমি এখানে থাকি ২০ বছর। বাজার তদারকি করতে একবার যদিওবা আসে ছয় মাসেও আসে না। পাবলিকের কষ্ট হচ্ছে।
হাআমা/