মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ১ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ঢাকার যানজট নিরসনের উপায় খুঁজতে বিশেষজ্ঞ ও ডিএমপিকে নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার রাষ্ট্র ব্যবস্থার কাঙ্খিত সংস্কারে আলেম সমাজকেও এগিয়ে আসতে হবে: জমিয়ত নেতৃবৃন্দ ধর্ম উপদেষ্টার সঙ্গে সিলেট আলেম প্রতিনিধির সাক্ষাৎ, আলোচনায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন হুব্বে রাসূল ﷺ ফাউন্ডেশনের সংবর্ধনা, সিরাত কনফারেন্স ও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত ‘আদর্শ নাগরিক গঠনে ভূমিকা রাখছে উলামায়ে কেরাম’ মহানবী (সা.) এর পুরো জীবনটাই আমাদের জন্য আদর্শ: ধর্ম উপদেষ্টা খেলাফত ব্যবস্থায় রাষ্ট্র ও সমাজ শীর্ষক সীরাতুন্নবী সা. সেমিনার অনুষ্ঠিত আসাদুজ্জামান নূর ও মাহবুব আলী কারাগারে তেজগাঁও কলেজের ইতিহাসে প্রথম সর্ববৃহৎ ইসলামী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত রাসুল (স.) এর আদর্শ পৃথিবীকে শত শত বছর নেতৃত্ব দিয়েছে: চবি অধ্যাপক

খাজা টাওয়ারে আগুন, ইন্টারনেটে ধীরগতি থাকবে ১ সপ্তাহ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
প্রতীকি ছবি

রাজধানীর মহাখালীর খাজা টাওয়ারে আগুনের ঘটনায় ডাটা সেন্টার ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুড়ে গেছে ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি)। এতে সারাদেশের অন্তত ছয়শ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) প্রতিষ্ঠানের সার্ভারে বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে অনেক প্রতিষ্ঠানের ইন্টারনেট সেবা। যেগুলো এখনও চালু আছে, সেখানেও ইন্টারনেটে ধীরগতি।

ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি এমদাদুল হক বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এমদাদুল হক বলেন, যতটুকু খবর পেয়েছি লেভেল থ্রি, ম্যাক্স হাব, আমরা নেটওয়ার্কস, আর্থনেট ও উইনস্ট্রিম আইআইজি পুড়ে গেছে। ফলে আমরা এরইমধ্যে ৭০-৮০ শতাংশ ব্যান্ডউইথ হারিয়েছি। সারাদেশের ৫৫০-৬০০ আইএসপি প্রতিষ্ঠানের সেবা বন্ধের পর্যায়ে।

তিনি আরও বলেন, খাজা টাওয়ারে আগুনের ঘটনায় ধারণা অনুযায়ী- যে পরিমাণ ড্যামেজ (ক্ষতি) হয়েছে, তাতে ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরাতে অন্তত এক সপ্তাহ সময় লাগবে। আর যদি ডিভাইসগুলো পুড়ে যায়, সেক্ষেত্রে আরও বেশি সময়ও লাগতে পারে। তার আগ পর্যন্ত সারাদেশে ইন্টারনেট ধীরগতির থাকতে পারে।

তবে ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণ এবং সেখানে ঢোকার পর ক্ষয়ক্ষতির পরিস্থিতি দেখে ইন্টারনেট সেবা স্বাভাবিক হতে কত সময় লাগবে, তা সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাবে বলে জানান আইএসপিএবি সভাপতি।

আইএসপিএবির মহাসচিব নাজমুল করিম ভূঞা বলেন, সারাদেশে ৬-৭টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) থেকে ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এগুলোতে আবার অন্তত ৬০০-৭০০ আইএসপির ডাটা রাখা থাকে। কোনো আইআইজি শাটডাউন করলে, সেখানে যাদের ডাটা থেকে সেগুলোও বন্ধ হয়ে যায়।

তিনি বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর সেখানে ঢুকতে পারলে পরিস্থিতি দেখে ক্ষতির পরিমাণ বোঝা যাবে। যদি ডিভাইসগুলো ক্ষতিগ্রস্ত বা পুড়ে না যায়, সেক্ষেত্রে দ্রুত আগের অবস্থায় ফেরা যাবে। আর যদি ডিভাইস পুড়ে যায়, ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেক্ষেত্রে এক সপ্তাহ নয়, তারও বেশি সময় লাগতে পারে।

রাজধানীর বাড্ডা এলাকার ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) প্রতিষ্ঠান শূন্য ইন্টারনেটের ফখরুল ইসলাম বলেন, আর্থের (আইএসপি প্রতিষ্ঠান) থেকে আমার ফেসবুক, ইউটিউব নেওয়া। ওদের সার্ভিস পাচ্ছি না। ফলে আমার ইউটিউব, ফেসবুক ডাউন। এখন আমার গ্রাহকরাও ইউটিউবে ঢুকলে ডাউন পাবেন। ঠিকভাবে ভিডিও দেখতে পারবেন না। ফেসবুক চালাতেও সমস্যায় পড়ছেন। ভার্গো থেকেও আমার কিছু ডাটা নেওয়া আছে। ওটাও ডাউন।

তিনি বলেন, আমি যাদের থেকে ইন্টারনেটটা নিয়েছি, সেটা ঠিক আছে। এজন্য আমার গ্রাহকরা ইন্টারনেট সার্ভিসটা ঠিকমতো পাচ্ছে। অর্থাৎ খাজা টাওয়ারের আইআইজির পপ প্রোভাইডার প্রতিষ্ঠান যেগুলো রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে যাদের ডাটা সার্ভার ডাউন; তাদের থেকে ডাটা নেওয়া সংযোগ ব্যবসায়ীদেরও সার্ভার ডাউন। এটা সারাদেশে অসংখ্য প্রোভাইডারের একই অবস্থা।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ