মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪ ।। ৬ কার্তিক ১৪৩১ ।। ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিরোনাম :

সুনানে তিরমিজির ব্যাখ্যাগ্রন্থ শায়েখ মারুফির আল আরফুয যাকি'র মোড়ক উন্মোচন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| আবুল ফাতাহ কাসেমী ||

ইদারাতুল মাবাহিসিল ফিক্বহিয়্যাহ ভারত -এর উদ্যোগে আয়োজিত গত ১২-১৪ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরী মুতাবিক ১৬-১৮ অক্টোবর ২০২৪ ইং তারিখে ১৯ তম ফিকফী সেমিনারে দারুল উলুম দেওবন্দের উচ্চতর হাদীস গবেষণা বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক, বর্তমান বিশ্বের মুহাক্কিক আলেম শায়েখ আবদুল্লাহ মারুফি হাফি. লিখিত সুনানে তিরমিজির ব্যাখ্যাগ্রন্থ ২০ খণ্ডের আল আরফুয যাকি ( العرف الذكي شرح جامع الترمذي) কিতাবটির মোড়ক উন্মোচন হয়েছে।

ভারতের দারুলউলুম দেওবন্দের প্রাচীন প্রকাশনী প্রতিষ্ঠান যাকারিয়া বুক ডিপো ২০ খণ্ডের এ ইলমি খাজানা আহলে ইলমদের সামনে আনে। গ্রন্থটি প্রকাশের পর ইতিমধ্যে আহলে এলেমদের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।

গ্রন্থটি লেখার প্রেক্ষাপটও চমকপ্রদ। ১৪১৯ হিজরীর যিলহজ্ব মাসের (মার্চ ১৯৯৯ ইং)। সেবছর হযরত মুফতি আব্দুল্লাহ মারুফী দা.বা হজ্ব পালনের জন্য মক্কা মুকাররমায় গিয়েছিলেন। হজ্ব শেষে তিনি মদিনা মুনাওয়ারায় তাশরিফ নেন। কয়েকদিন সেখানে অবস্থান করেন। সে সময় একদিন তিনি মদিনা মুনাওয়ারার বিশিষ্ট মুহাদ্দিস আল্লামা মুফতি আশেকে এলাহী বুলন্দশহরী রহ. -এর সাথে মুলাকাত করেন এবং হাদিস শরীফের ইজাজত নেন। হাদিসের ইজাজাত প্রদান করে হযরত মুফতী আশেকে এলাহী বুলন্দশহরী রহ. হযরত মুফতী আব্দুল্লাহ মারুফী দা.বা. কে বললেন,  "হয়তো আপনি তিরমিজী শরীফের পূর্ণ ব্যাখ্যাগ্রন্থ লিখুন নয়তো মাআরিফুস সুনান এর তাকমিলা লিখুন।"

১৪১৯ হিজরী  সনে হজ্ব থেকে ফিরে এসে হযরত মুফতি আব্দুল্লাহ মারুফী দা.বা. তিরমিজি শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থের কাজ শুরু করেন। দুই যুগেরও বেশী সময় তিনি এ কাজ অব্যাহত রাখেন। অবিরাম পরিশ্রম চালিয়ে যান। জীবনের দীর্ঘ পঁচিশটি বছর তিনি এ কাজে ব্যয় করেছেন। উম্মাহর উপর অনেক বড় এহসান করেছেন।

কিতাবটির মৌলিক বিন্যাস করতে গিয়ে প্রথমে নিয়ে আসা হয়েছে তিরমিযী শরীফের মতন, এরপর মাঝের অংশে রয়েছে মতনের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ এবং প্রয়োজনীয় সব তাশরীহ ও তাওজীহ। আর নিচের ভাগে সংযোজন করা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে একান্ত প্রয়োজনীয় টিকা, টিপ্পনী।

কিতাবের এবারত থেকে আলোচ্য বিষয়ের সঠিক মর্ম অনুধাবন অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এর জন্য চাই বিশুদ্ধ ও নির্ভরযোগ্য মতন। তবে তিরমিজি শরীফের প্রচলিত নুসখা সমূহের সনদ ও মতন উভয়টিতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভুল-ত্রুটি এবং নানা রকমের বিচ্যুতি ও অসঙ্গতি। চাই তা পাণ্ডুলিপি প্রস্তুতকারী , মুহাক্কিক , প্রকাশক কিংবা মুদ্রণকারী সহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের যে কারো অসতর্কতার কারণে হোক। তাই লেখক শিক্ষার্থীদেরকে তিরমিজি শরীফের পরিশোধিত , পরিমার্জিত , সম্পাদিত , সহীহ ও বিশুদ্ধ মতন উপহার দেয়ার লক্ষ্যে নিম্নে বর্ণিত কর্মপন্থা অবলম্বন করেছেন।

এক . সংশোধন ও পরিমার্জনের জন্য নির্বাচন করেছেন,

১. শাইখ আহমদ মুহাম্মদ শাকের রহ. এর কালজয়ী সংকলন দারু ইহয়াউত্বুরাসিল আরাবী প্রকাশিত ” আল জামেউস সাহীহ”। যা মূলত পাণ্ডুলিপি ও মূদ্রিত বিশুদ্ধ সাতটি নুসখা থেকে সংশোধিত ও পরিমার্জিত।

২. হিন্দুস্তানি নুসখা সমূহের মাঝে কুতুবখানায়ে রশীদিয়া দিল্লি প্রকাশিত “জামে তিরমিজি”। যার বিশুদ্ধতা ও নির্ভরযোগ্যতার বিষয়টি প্রসিদ্ধ।

৩. দারুসসালাম রিয়াজ প্রকাশিত মওসুআতুল হাদিসিস শরীফ আল কুতুবুস সিতত্বাহ। এটিও একটি নির্ভরযোগ্য ও পরিমার্জিত সংস্করণ। যা শাইখ সালেহ ইবনে আব্দুল আজিজ রহ. এর নিজস্ব সম্পাদনা ও তত্ত্বাবধানে রচিত।

৪. শাইখ বাশ্শার আওয়াদ মারুফ দা. বা. সম্পাদিত দারুল গারবিল ইসলামী প্রকাশিত “আল জামিউল কাবির”। প্রসিদ্ধ এই চারটি বিশুদ্ধ নুসখাকে সামনে রেখে তিরমিযী শরীফের ইবারতের সংশোধন , পরিমার্জন ও বিশুদ্ধকরণের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন লেখক দা. বা.।

দুই . শিক্ষার্থীদের আলোচ্য বিষয়ের সঠিক মর্ম অনুধাবনের জন্য সহীহ হারাকাত – সাকানাত দিয়ে সুসজ্জিত করেছেন তিরমিজি শরীফের পূর্ণ ইবারতকে।

তিন . নুসখার ভিন্নতা বা আধিক্যতাকে “বায়নাল মাকুফাইন” তথা দ্বিতীয় বন্ধনীর মাধ্যমে চিহ্নিত করেছেন। ইবারত সংশ্লিষ্ট কোন কথা বা হাদীসের মূল মতনের সাথে সম্পৃক্ত অতিব প্রয়োজনীয় এমন সকল বিষয়, যা মূল ইবারতের সাথে লেখাটা সমিচীন নয়, সে গুলোকে হাশিয়াতে লিখেছেন।

চার . অধ্যয়নের ভারসাম্যতা ও সামঞ্জস্যতা ঠিক রাখতে বাক্যের মাঝে ব্যবহৃত চিহ্নরীতি তথা দাড়ি, কমা, কোলন , সেমিকোলন , ফুলস্টপসহ অন্যান্য রীতিনীতির যথাযথ প্রয়োগ করেছেন।

পাঁচ. নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুখ নিঃসৃত বাণীগুলোকে “বায়নাল কাউসাইন” তথা প্রথম বন্ধনীর মাধ্যমে অন্যান্য কথার থেকে আলাদা করে উল্লেখ করেছেন।

ছয় . কিতাবের অনুচ্ছেদ সমূহের প্রতিটি অধ্যায়ে নাম্বার লাগিয়েছেন। পাশাপাশি শুরু থেকে প্রতিটি হাদীসের ধারাবাহিক নাম্বারও টেনে দিয়েছেন।

সাত .وفي الباب বলে ইমাম তিরমিযি রহ. কর্তৃক উল্লিখিত সাহাবীদের নামগুলোকে একত্রে আলাদা প্যারায় উল্লেখ করে দিয়েছেন। যাতে বিষয়টির স্বাতন্ত্র্যতা ও তাৎপর্যতা পরিলক্ষিত হয়। গুরুত্ব ও ব্যাপকতা দৃষ্টিগোচর হয়।

আট . قال أبو عيسى বলে বর্ণিত হাদীসের উপর ইমাম তিরমিজি রহ. এর অর্পিত হুকুম , কিংবা সনদে বর্ণিত রাবীদের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ কোন আলোচনাকে পৃথক প্যারায় উল্লেখ করেছেন।

নয় . হাদিস থেকে উৎসারিত মাসাআলার ব্যাপারে ইমামগণের বর্ণিত মতামত, কিংবা হাদিসের দুর্বলতার প্রতি ইঙ্গিতবহ কোন বিষয় উল্লেখকরণ সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কথাবার্তা আলাদা আলাদা প্যারায় উল্লেখ করেছেন। যাতে শিক্ষার্থীদের বুঝতে সুবিধা হয়। এবং বিভ্রান্তি ও দ্বিধা-দ্বন্দ্বের শিকার না হয়।

দশ . সবশেষে পাণ্ডুলিপি প্রস্তুত হওয়ার পর কয়েক দফায় পুনরায় সম্পাদনা ও তাসহীহ করণের মাধ্যমে জাতির সম্মুখে তিরমিজি শরীফের বিশুদ্ধ ও মানসম্মত একটি মতন উপহার দেয়ার জন্য মুসাননিফ দা. বা. সর্বোচ্চ চেষ্টা ও নিরলষ মেহনত করেছেন। তাই বলা যায় “আল আরফুয যাকী” কিতাবে স্থান পাওয়া তিরমিজি শরীফের ইবারতটি সমকালের সর্বাধিক পরিশোধিত, পরিমার্জিত, মানসম্মত ও নির্ভরযোগ্য।

আল আরফূয যাকি কিতাবটি মূলত আল্লামা মুহাম্মদ আনোয়ার শাহ কাশ্মীরী রহ. এর “ইফাদাতে হাদিসিয়্যাহ” তথা হাদিস বিষয়ক নানাবিধ উলূম ও মাআরিফের অনবদ্য সংকলন। পাশাপাশি এটি আল্লামা রহ. এর সংক্ষিপ্ত ও তাৎপর্যপূর্ণ এবং ইঙ্গিতবহ আলোকপাতের সহজ-সাবলীল, সাজানো – বিন্যস্ত একটি দারুণ প্রয়াস।

সেই সাথে রয়েছে আল্লামা রহ. এর গৃহীত পন্থা ও অনুসৃত পদ্ধতির আলোকে “জামে তিরমিযী” এর নিগূঢ় রহস্য উদঘাটন , হাদীসে নববীর মাঝে গচ্ছিত উলুম ও মাআরিফের উৎসারণ, নানাবিধ আসরার ও হিকমতের উম্মোচন, আরো অনেক বিষয়ের সঠিক ও নির্ভুল সমাধান। রয়েছে আরো অভিনব কিছু বিষয়ের অবতারণা, যা মূলত ইলম পিপাসু পাঠকবৃন্দের চিন্তার জগতে নিয়ে আসবে আমূল পরিবর্তন। জ্ঞানের ভূবনে খুলবে আলোর নতুন দিগন্ত।

হযরত কাশ্মিরির হাদীসের বিভিন্ন কিতাবে ও নানান জায়গায় ছড়ানো- ছিটানো, বিক্ষিপ্ত উলুম ও মাআরিফকে একত্র করে তার সামঞ্জস্যপূর্ণ জায়গায় ও নির্ধারিত অধ্যায়ে মুসাননিফ দা. বা. উল্লেখ করেছেন। যেগুলো খুঁজে খুঁজে একজন তালেবে ইলমের জন্য মুতালাআ করা বড়ই দুরূহ ও দুষ্কর।

হস্তলিখিত পাণ্ডুলিপি ও মুদ্রিত বিভিন্ন নুসখাসমূহ আল্লামা কাশ্মিরী রহ. এর দরসী তাকরীরের অনুকরণে লিখিত হওয়ায় মূল আলোচনার সঙ্গে নূন্যতম সম্পর্কের ভিত্তিতে অনেক গবেষণালব্ধ বিশ্লেষণমূলক অপ্রাসঙ্গিক বিষয়বস্তু লিপিবদ্ধ হয়েছে। পাঠকবৃন্দের সুবিধার্থে মুসান্নিফ দা. বা. সেই সকল বিষয়বস্তুকে তার প্রাসঙ্গিক সামঞ্জস্যপূর্ণ জায়গায় স্থানান্তর করেছেন। যাতে পাঠকবৃন্দ বিরক্তি ও দ্বিধা-দ্বন্দ্বের শিকার না হয়। এবং উদ্দিষ্ট স্থানে কাশ্মীরী রহ. এর তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাখ্যা থেকে বঞ্চিত না হয়।

এছাড়াও দরসী তাকরীরের অনুকরণে কখনও কখনও কোন গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্যবহ বিষয়ে লম্বা আলোচনা এড়াতে শুধু বড়ো বড়ো কিতাবের উদ্বৃতি দিয়েই ক্ষান্ত করা হয়েছে।

ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণের প্রয়োজন এমন সব বাক্যকে قوله বলে আলাদা করে উল্লেখ করেছেন। হাদীসে বর্ণিত বাক্য মালার পরস্পর সম্পর্ক, পূর্বাপর প্রসঙ্গ, ব্যবহৃত শব্দ সমূহের আভিধানিক অর্থ এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে হাদীসটির এমন যুৎসই ও চমকপ্রদ ব্যাখ্যা করেছেন, যা আরবি ভাষার রীতিনীতি ও মুতাকাল্লিমের মাকসাদের সাথে একেবারে সামঞ্জস্যপূর্ণ। একাধিক উক্তি বর্ণনার ক্ষেত্রে দলিলবিহীন অনর্থক উদ্ভট মতামতসমূহের পেছনে না পড়ে হাদিসের মূল বক্তব্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রমাণের ভিত্তিতে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত , ইশকাল ও এতেরায বহির্ভূত উক্তিসমূহকে বেছে বেছে উল্লেখ করেছেন।

ফেকহী মাসায়েলের ক্ষেত্রে আল্লামা কাশ্মীরি রহ. এর অনুসৃত কর্মপদ্ধতির আলোকে লেখক দা . বা. হাদিস থেকে উৎসারিত মাসালায় ইমামগণের মধ্যকার মতানৈক্যকে তথ্য- উপাত্ত এবং দলীল – প্রমাণের মাধ্যমে সুসজ্জিত করেছেন।

পূর্ণ আদাব ও আখলাকের সাথে উসূলের ভিত্তিতে বিপক্ষ থেকে উত্থাপিত বিভিন্ন ইতেরাজ ও ইশকালের প্রতিউত্তর করেছেন। পাশাপাশি তাদের বর্ণিত দলিলের ত্রুটিপূর্ণ দিকগুলোও উল্লেখ করেছেন। সেই সাথে হানাফী মাযহাবকে অন্যান্য মাযহাবের সাথে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে অগ্রাধিকারের কারণ সমূহ উল্লেখ করার পাশাপাশি হাদীস ও আছারের ভিত্তিতে শক্তিশালী ও মযবুত করেছেন। পরস্পর বিরোধপূর্ণ হাদীসের ক্ষেত্রে তৎসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সনদে বর্ণিত রেওয়ায়েতের শব্দমালা একত্র করে হাদীসটির বিশুদ্ধ ও মানসম্মত তাওজীহ করেছেন।

গায়রে মুকাল্লিদীন কিংবা অন্যান্য মতাবলম্বীদের সাথে বিরোধপূর্ণ মাসআলা সমূহের সবিস্তারে আলোচনা করেছেন। খুঁটি- নাটি বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে পাঠকবৃন্দের সামনে সঠিক ও বিশুদ্ধ চেতনাকে সুস্পষ্ট করার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন।

তিরমিযী শরীফে বর্ণিত যে সকল মাসআলা তাহাবী শরীফেও আছে , সেগুলো কে ইমাম তাহাবী রহ. এর বরাতে মুসাননিফ দা. বা. সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ে সবিস্তারে সুবিন্যস্তভাবে আলোচনা করেছেন। এতে করে বিষয়টি আরো প্রামাণিক ও হানাফী মাযহাবের মযবুতির কারণ হয়েছে।

কিতাবটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো — উসূলে হাদিস , উসূলে ফিকহ , জরাহ – তাদীল, ইলালে হাদিস সহ উলুমুল হাদিসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ, তাৎপর্যবহ বিষয়াদির মৌলিক সমাধান এতে স্থান পেয়েছে। যা পাঠকবৃন্দকে উল্লেখিত বিষয়ের জটিলতা ও দুর্বোধ্যতা থেকে রেহাই দিবে। সঠিক ও বিশুদ্ধ সমাধান দান করবে। পাশাপাশি এতে সন্নিবেশিত হয়েছে আল্লামা কাশ্মিরী রহ. এর ইফাদাতের ত্রুটিপূর্ণ কিছু বিষয়। যা পাঠকবৃন্দকে করবে সচেতন ও আরো চৌকস।

মোটকথা নানাবিধ বৈশিষ্ট্য আর নতুনত্বে ভরপুর এই কিতাবটি। চাই তা মতনের সাথে সংশ্লিষ্ট হোক বা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের সাথে কিংবা টীকা – টিপ্পনীর সাথে। সেই সাথে ইফাদাতে কাশ্মিরী তো আছেই। প্রতিটি প্যারা আর অধ্যায়কে ঘিরে।

বিশ খণ্ডের এ মহামূল্যবান ব্যাখ্যাগ্রন্থটি দেওবন্দের প্রাচীন কুতুবখানা 'জাকারিয়া বুক ডিপো' থেকে চেপেছে। ইন্ডিয়ান মূল্য ৭০০০ (সাত হাজার) রুপি।

এই প্রথম হাদিসের বিখ্যাত গ্রন্থ সুনানে তিরমিজির পূর্ণঙ্গ ব্যাখ্যাগ্রন্থ পাঠকের সামনে আসলো। আল্লাহ তায়ালা লেখকের ইলমে আমলে বরকত দান করুন।

লেখাটি তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন হযরতের সান্নিধ্যপ্রাপ্ত মাওলানা আবদুর রহমান নাইম।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ