শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ২৮ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাড়িতে বাবার লাশ রেখে এসএসসি পরীক্ষা দিল নাহিদ মানবতার জন্য আপনিও আসুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে: শায়খ আহমাদুল্লাহ ইসরায়েলকে প্রতিহত করতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ দরকার: বিএনপি মাদরাসাছাত্রদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে কাজ করছে এনসিপি : নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মুসলিম রাষ্ট্রের ওপর এখন সশস্ত্র ল’ড়াই ফরজ: মুফতি তাকি উসমানি ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান শায়খে চরমোনাই’র নড়াইলে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা মামলায় আ. লীগের ৪৮ নেতাকর্মী কারাগারে বিনা খরচে আরও কর্মী নেবে জাপান, সমঝোতা স্মারক সই সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়া সেই বিতর্কিত ব্যক্তি আটক জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আসছে নতুন রাজনৈতিক দল, নাম নির্ধারণ

বৃষ্টি ভেজার দিন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি : সংগৃহীত

যাকারিয়া মাহমুদ ।। 

বৃষ্টি ভেজার প্রথম দিন । আমি তখন ছোট। নরম গায়ে কোমল বৃষ্টির ছোঁয়া। কোমল সেই অনুভূতি। আমি কখনোই ভুলতে পারিনি। ভুলতে চাইও না। ভালোলাগে সেই স্মৃতি। অনুভূতি। খুব ভালোবাসি সেই দিনটিকে।

সেদিন চারদিকে যখন শীতল হাওয়ার ছড়াছড়ি। মাথার উপর ঘন, কালো, বিস্তৃত মেঘরাশি। ভর-দুপুরেও নেমে এলো সন্ধ্যার আঁধার । আমি তখন আনন্দে আত্মহারা । আম্মার চোখ ফাঁকি দিয়ে ছুটে যাই কড়ইতলায়। আমাদের বাড়ির কাছেই।

কড়ইতলায় বহু মানুষের ভিড়। ছোটদের ছোটাছুটি। এখানে-ওখানে বড়দের গল্পের আসর।

আমি ছুটে চলি ঘাসফড়িং আর প্রজাপতির পিছু পিছু। যখন ওদের ধরতে যাই, ওরা উড়ে যায়। বাতাসে ডানা মেলে। কখনো-বা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। আমার হাত ওদের ধরতে পায় না। তবু সুখ খোঁজে পাই সেই পিছু ছোটায়।

ঝিরিঝিরি বৃষ্টি শুরু। অনেকেই দৌঁড়ে ওঠে ঘরে। ভেজার ইচ্ছে নেই তাদের। আমি ভিজি আপন মনে। আমার সঙ্গে আরও ছেলেমেয়ে। সবাই সমবয়সী। আমরা হাসি, খেলি, ভিজি। সবাই মিলে । একসঙ্গে। বড়রা ভেজে ভিন্ন দলে।

বৃষ্টি পড়ে রিমঝিম। ঝুমূর-ঝুমূর। টিনের চাল গড়িয়ে আসে বৃষ্টির স্বচ্ছ জল। একসঙ্গে অনেকগুলো ঝরনার মতো। আমরা তার নিচে খুশি মনে ভিজি। লাফিয়ে লাফিয়ে। দাঁড়িয়ে। বসে।

কাদামাটিতে পিছলে খাই। একজন "ধপাশ" করে পড়ে গেলে, খিলখিলিয়ে হেসে ওঠে সবাই। দুষ্টমি করি। কাদা-পানি ছুড়ে দিই একে-অপরের গায়ে। এ নিয়ে ঝগড়াও হয়। খানিক পরেই মিটে যায় সব রাগ-অভিমান।

এদিকে বূষ্টিতে ভেজার সুখ। ওদিকে ঘরে ফেরার তাড়া। এতক্ষণে নিশ্চই খোঁজে ফিরছেন মা।

পা টিপে টিপে ঘরে ফিরি। বাড়তে থাকে বুকের ধুকপুকানী। কোনোরকমে আম্মার চোখ এড়াতে পারলেই হয়। পারি না । ব্যর্থ হই। দৌড়ে লুকোই আপার পেছনে।

শৈশবে এমন অনেক দিন ছিল। সুখে ভরপুর সেই দিনগুলো, স্মৃতিপটে ভেসে ওঠে আজও। হৃদয়ে খুব ইচ্ছে জাগে। যদি ফিরে যাওয়া যেত সেই সুখ- শৈশবে!

লেখক : শিক্ষার্থী, মারকাযুল মাআরিফ আল ইসলামিয়া, উত্তর বাড্ডা,ঢাকা-১২১২। 

এমআর/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ