মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ১ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ঢাকার যানজট নিরসনের উপায় খুঁজতে বিশেষজ্ঞ ও ডিএমপিকে নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার রাষ্ট্র ব্যবস্থার কাঙ্খিত সংস্কারে আলেম সমাজকেও এগিয়ে আসতে হবে: জমিয়ত নেতৃবৃন্দ ধর্ম উপদেষ্টার সঙ্গে সিলেট আলেম প্রতিনিধির সাক্ষাৎ, আলোচনায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন হুব্বে রাসূল ﷺ ফাউন্ডেশনের সংবর্ধনা, সিরাত কনফারেন্স ও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত ‘আদর্শ নাগরিক গঠনে ভূমিকা রাখছে উলামায়ে কেরাম’ মহানবী (সা.) এর পুরো জীবনটাই আমাদের জন্য আদর্শ: ধর্ম উপদেষ্টা খেলাফত ব্যবস্থায় রাষ্ট্র ও সমাজ শীর্ষক সীরাতুন্নবী সা. সেমিনার অনুষ্ঠিত আসাদুজ্জামান নূর ও মাহবুব আলী কারাগারে তেজগাঁও কলেজের ইতিহাসে প্রথম সর্ববৃহৎ ইসলামী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত রাসুল (স.) এর আদর্শ পৃথিবীকে শত শত বছর নেতৃত্ব দিয়েছে: চবি অধ্যাপক

ওহীর সূচনা


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

মুফতি আরিফুল ইসলাম

প্রিয় নবীজির সা. বয়স ৪০ বছর।এ সময়ে নির্জনতা খুব পছন্দ করতেন। সব সম্পর্ক ছিন্ন করে রাসূল সা. ধ্যানে মগ্ন থাকতেন। লোকালয় থেকে বেরিয়ে উচূ পাহাড় হেরা পর্বতে । প্রায় ১০০০ ফুট উর্চূঁ পর্বত । এত উচূঁ পর্বতে ওঠা সত্যিই বিশ্ময়কর । বর্তমান হেরা পর্বতে তো উপরে ওঠতে একটি পথ তৈরী হয়েছে। তৎসময় পর্বতের চিত্র এমন ছিল না। চারদিকে পাথরে বেষ্ঠিত কন্টকাকীর্ণ পথ। সেই দুর্গম পথ বেয়ে গুহায় ধ্যানে মগ্ন থাকতেন। গুহাটি এতই সংকীর্ণ যাতে একজন মানুষই ইবাদত করতে পারবে। সামান্য পানি আর ছাতুই ছিল হুজুর সা.-এর ক্ষুধা নিবারণ খাদ্য।

মাঝে মাঝে আল্লহার রাসূল সা. স্বপ্ন দেখতেন। নবীজির স্বপ্ন সবই সত্য হত। রাতে যা দেখতেন দিনে তা-ই বাস্তবায়িত হত। একবার হযরত জীবরাঈল আ. ওহী নিয়ে আগমন করেন। হুজুর সা. -কে বললেন, পড়ুন, নবীজি সা. বললেন আমি পড়তে জানিনা। জীবরাঈল আ. হুজুর সা. –কে নিজের বুকের সাথে মিরিয় পুরো শ্ক্তীবলে চাপ দেন। বলেন এবার পড়ুন। হুজুর সা. বললেন আমি পড়তে জানি না। দ্বিতীয়বার একইভাবে চাপ দেন। হুজুর সা. বলেন আমি পড়তে জানি না। তৃতীয়বারও জীবরাঈল আ. নিজের পুরো শক্তি বলে চাপ দেন। এবার নবীজি সা. পড়তে শুরু করেন। সূরা আলাকের প্রথম পাঁচ আয়াত দিয়ে ওহীর ধারা শুরু হয় ।

ওহীর ভারে হুজুর সা. এর শরীরে কম্পন সৃষ্টি হয়। কাঁপতে কাঁপতে আম্মাজান খাদীজা রা. এর কাছে ছুটে আসেন।বলেন-আমার শরীরে কাপড় জড়িয়ে দাও। স্বাভাবিক হয়ে আম্মাজান খাদীজা রা. এর কাছে ঘটনার বৃত্তান্ত বর্ণনা করেন। আমার জানের আশংকা করছি।রাসূলের প্রতি বিশ্বস্ত খাদীজা রা. হুজুর সা.-এর মনে সাহস জোগান। কীসের ভয় আপনার। আপনি তো কোনো অপরাধী নন। আপনার প্রতি রয়েছে সকলের অকৃত্রিম অগাধ ভালোবাসা। আপনাকে সবাই সত্যবাদি বলে জানে। ইয়াতিম, বিধবাদের অভিভাবক আপনি। আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখেন।বিপদ-আপদের বন্ধু আপনি। এমন নীতিবান মানুষকে আল্লাহ কখনো বিপদে ফেলবেন না।

তৎসময় আসমানী কিতাব তাওরাত, ও ইঞ্জিলের আলেম ছিলেন ওয়ারাকা ইবনে নাওফাল। হযরত খাদীজা রা. এর চাচাত ভাই তিনি। হযরত খাদীজা রা. হুজুর সা. কে এই জ্ঞানতাপসের কাছে নিয়ে আসেন। বিবরণ শোনামাত্রই চটজলদি বলে দিলেন এই বার্তাবাহক সেই বার্তবাহক যিনি হযরত মূসা আ . এর উপর ওহী নিয়ে এসেছিলেন। এই বয়োবৃদ্ধ জ্ঞান তাপস আফসুস করে বলেন আমি যদি সে সময় পর্যন্ত হায়াত পেতাম যখন আপনার আপনজন আপনাকে দেশান্তর করবে। হুজুর সা. আশ্চর্য হয়ে বললেন আমার গোষ্ঠী আমাকে বের করে দিবে?! তিন বললেন হ্যাঁ । এটি সবার বেলাই হয়েছে।ইতিপূর্বে যারা নতুন দাওয়াত নিয়ে এসেছে সবার সাথেই গোত্রের লোকজন তার সাথে দূর্বব্যবহার করেছে। তিনি বলেন আহ! যদি আমি সে সময় পর্যন্ত জীবিত থাকতাম অবশ্যই আপনার খেদমত করতাম! সীরাতে রসূল সা. (সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী র.) -----সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়াসাল্লাম----    

লেখক : ইমাম ও খতীব   

এম আই/        


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ