বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতাসীন হওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা নেই বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প। সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, এ ব্যাপারে তিনি প্রধানমন্ত্রীর ওপর নির্ভর করতে চান। এরপর বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বেশি কিছু না বলে সরাসরি এ প্রসঙ্গে মোদিকে কথা বলার জন্য ইঙ্গিত করেন তিনি। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, "আমি বাংলাদেশ প্রসঙ্গটি (কথা বলার জন্য) প্রধানমন্ত্রী মোদির উপর ছেড়ে দিচ্ছি"। এরপর কথা বলা শুরু করেন মোদি। মোদি বাংলাদেশ প্রসঙ্গে কোন কিছু না বলে ইউক্রেন সংকট নিয়ে কথা বলা শুরু করেন।
বিষয়টি নিয়ে প্রবাসী অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের সামী আজ শুক্রবার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, ভারতীয় সাংবাদিক; মিস্টার প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ ইস্যুতে আপনি কী বলতে চান? কারণ আমরা দেখেছি, কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপ স্টেট বাইডেন প্রশাসনের সময় দেশটির শাসন পরিবর্তনে জড়িত ছিল—এটি স্পষ্ট। আর তারপর মোহাম্মদ ইউনুস জুনিয়র সোরোসের সাথেও দেখা করেন... সুতরাং বাংলাদেশ সম্পর্কে আপনার মতামত কী?
মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প; না, আমাদের ডিপ স্টেটের এখানে কোনও ভূমিকা ছিল না। (ভারতের) প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়টা নিয়ে বহুদিন ধরে কাজ করেছেন...। আসলে আমি পড়েছি, (ভারত) এটা নিয়ে শত শত বছর ধরে কাজ করা হয়েছে। বাংলাদেশের বিষয়টি (উত্তর দিতে) আমি (ভারতের) প্রধানমন্ত্রীর ওপরই ছেড়ে দেবো’, পাশে বসা নরেন্দ্র মোদির দিকে ইঙ্গিত করে বলেন ট্রাম্প।
কিন্তু আমেরিকান প্রেসিডেন্টের ইঙ্গিতে মোদি কোন উত্তর দেননি, মোদি ইউক্রেন প্রসঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন। সেদিন হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক হয় তার। বৈঠকের আগে এক সংক্ষিপ্ত ব্রিফিং করেছেন ট্রাম্প। সেই ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন। আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
এমএইচ/