তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একত্রিত হয়ে সিরিয়াকে পুনর্গঠন ও উন্নয়নে সহায়তা করতে হবে।
বুধবার আঙ্কারায় তুরস্ক, আজারবাইজান ও উজবেকিস্তানের পররাষ্ট্র, পরিবহন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়গুলোর ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
ফিদান বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব হল সিরিয়াকে পুনর্গঠন করা এবং তাকে নতুন করে দাঁড় করাতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, “সিরিয়ায় ইতিবাচক ও আশাব্যঞ্জক পরিবর্তনগুলো এই অঞ্চলের জন্য একটি নতুন সম্ভাবনার জানালা খুলে দিয়েছে। সিরিয়ার স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে সহজতর করবে এবং পরিবহন, বাণিজ্য ও জ্বালানি খাতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে।”
তুরস্ক সিরিয়ার নতুন প্রশাসনের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে এবং ১৪ ডিসেম্বর সিরিয়ায় তার দূতাবাস পুনরায় চালু করা প্রথম দেশগুলোর মধ্যে ছিল।
গোয়েন্দা প্রধান ইব্রাহিম কালিন নতুন প্রশাসনের অধীনে দামেস্ক সফর করা প্রথম কর্মকর্তা ছিলেন, এবং ফিদান দ্বিতীয় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে সিরিয়ার রাজধানীতে নতুন নেতাদের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
২০১১ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হলে, তুরস্ক আসাদবিরোধী বিদ্রোহীদের সমর্থন দিয়েছিল।
এই যুদ্ধ লাখো মানুষকে বাস্তুচ্যুত করে, এবং তাদের অনেকে তুরস্কে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেয়। যুদ্ধের শেষ বছরে, তুরস্ক আসাদ প্রশাসনের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেছিল, যদিও তা সফল হয়নি।
ডিসেম্বরে আসাদের বাথ পার্টির শাসনের পতনকে তুরস্ক একটি “বিপ্লব” হিসেবে ঘোষণা করেছিল।
একটি শান্তিপূর্ণ পরিবর্তনকালীন সময় ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়ে, আঙ্কারা সিরিয়াকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিয়ে আসছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোয়ান প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সিরিয়ার নতুন প্রশাসন যেন একটি কার্যকর রাষ্ট্র কাঠামো ও নতুন সংবিধান গঠন করতে পারে, সে জন্য তুরস্ক সাহায্য করবে।
আরএইচ/