হামাসকে নি:শেষ করতে গাজায় একের পর বোমা ফেলেছে ইসরায়েল। ১৫ মাসের আগ্রাসী হামলায় নিহত হয়েছেন ৪৬ হাজারের বেশি মানুষ। আর আহত হয়েছেন লাখের বেশি মানুষ। আর নিখোঁজ রয়েছেন অসংখ্য মানুষ। ইসরায়েলের এ হামলায় চোখের অশ্রু ও হৃদয়ের রক্ত ক্ষরণ হয়েছে বিশ্বের প্রতিটি মুসলিমের। তবুও ইসরায়েল এ হামলা থামায়নি। বন্ধ করেনি তাদের নিষ্ঠুর নির্যাতন। অবশেষে নিজের বন্ধীদের ফিরে পেতে হামাসের সঙ্গে চুক্তি করতে বাধ্য হয় দেশটি।
মিডেল ইস্ট মনিটর এক প্রতিবেদনে বলেছে, ইসরায়েল হামাসকে নি:শেষ করতে এসে তাদেরকে জিতিয়ে দিল। হামাসকে মাটিতে মিশিয়ে দিতে ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলাসহ কিছুই বাকি রাখেনি দেশটি। দলটির নেতাদের দিনের আলোতে জঙ্গি আখ্যা দিয়ে হত্যা করেছে ইসরায়েল। তবুও দলটি ইসরায়েলের কাছে মাথা নত করেনি। তাদের নিজেদের আত্মসম্মান বজায় রেখে ইসরায়েলের সাথে দিনের পর দিন যুদ্ধ করে গেছে। অবশেষে আল্লাহ তাদের বিজয় দিয়েছেন। ইসরায়েল তাদের সাথে শান্তি চুক্তি করতে বাধ্য হয়েছে। দেশটি ১৫ মাসের যুদ্ধে যত নারী ও শিশু হত্যা করেছে পৃথিবীর ইতিহাসে এতো নারী ও শিশু হত্যার ঘটনা বিরল। এতো হত্যা, এতো ধ্বংস যজ্ঞ চালিয়েও দেশটি জয়ী হতে পারেনি। ইসরায়েল যাদের নি:শেষ করতে চেয়েছিল তাদের সাথেই শান্তি চুক্তি করে। এই শান্তি চুক্তির মাধ্যমে মূলত দলটিকে স্বীকৃতি দেয় ইসরায়েল। এর আগে দলটিকে কখনো মেনে না নিলেও এবার মেনে নিতে বাধ্য হয়। এটাই হামাসের বিজয়।
এদিকে হামাস ইসরায়েলের বন্ধীদের মুক্তি দিচ্ছে। তাদের সাথে নববী আচরণ করে বিশ্বে ইসলামের আদর্শকে আবার নতুন করে সামনে নিয়ে এসেছে। ইসলামের আদর্শ যে এতোটা সুন্দর মানুষ সেটা ভুলেই গিয়েছিল। হামাসের সঙ্গে চুক্তি করে ইসরায়েল হামাস ও ইসলামকে জয়ী করে দিয়েছে।
হাআমা/