রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪ ।। ২৩ আষাঢ় ১৪৩১ ।। ১ মহর্‌রম ১৪৪৬


ইসরেইলি আগ্রাসনে প্রতি ১০ জনের ৯ জনই বাস্তুচ্যুত : জাতিসংঘ


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় টানা ৯ মাস ধরে আকাশ ও স্থলপথে হামলা করে চলেছে ইসরায়েল। ধারাবাহি এই হামলায় গাজা ইতোমধ্যেই পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। দেখা দিয়েছে মানবিক সংকট।

মানবিক এই সংকট এতোটাই প্রকট আকার ধারণ করেছে,  প্রতি ১০ জনের ৯ জনই হয়েছেন বাস্তুচ্যুত গাজায়। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয়-বিষয়ক কার্যালয় ( ওসিএইচএ ) একথা জানিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বার্তাসংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজা উপত্যকায় প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন অন্তত একবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা বুধবার জানিয়েছে।

ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ওসিএইচএ সংস্থার প্রধান আন্দ্রেয়া ডি ডোমেনিকো বলেছেন, গাজায় প্রায় ১৯ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

তিনি জেরুজালেম থেকে নিউইয়র্ক এবং জেনেভাতে অবস্থানরত সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত গাজা উপত্যকায় গত বছরের অক্টোবর থেকে প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন অন্তত একবার, না হয় ১০ বার পর্যন্ত অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে আমরা অনুমান করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগে আমরা বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ১৭ লাখ বলে অনুমান করছিলাম। কিন্তু রাফাতে সামরিক বাহিনীর অভিযান এবং দক্ষিণ গাজার এই শহরটি থেকে অতিরিক্ত বাস্তুচ্যুতির ঘটনায় সেই সংখ্যা আরও বেড়েছে।’

আন্দ্রেয়া ডি ডোমেনিকো বলেন, ‘তারপর আমরা উত্তর গাজায়ও আবার সেনা অভিযান হতে দেখেছি, যা আরও মানুষকে ওই অঞ্চল থেকে সরিয়ে দিয়েছে। এই ধরনের সামরিক অভিযান মানুষকে বারবার তাদের জীবন পুনরায় নতুন করে শুরু করতে বাধ্য করেছে। তারা গত নয় মাস ধরে ( লুডুর মতো ) বোর্ড গেমের গুটির মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে।’

বাইডেনের গাজা নীতির প্রতিবাদে চাকরি ছাড়লেন আরেক মার্কিন কর্মকর্তা

তিনি বলেন, ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের মাধ্যমে গাজা উপত্যকাকে দুই ভাগ করা হয়েছে। ওসিএইচএ অনুমান করছে, অবরুদ্ধ এই অঞ্চলের উত্তরে বসবাসরত ৩ থেকে সাড়ে ৩ লাখ লোক দক্ষিণাঞ্চলে যেতে পারেননি।

যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আনুমানিক ১ লাখ ১০ হাজার লোক রাফা ক্রসিং দিয়ে গাজা উপত্যকা ছেড়ে যেতে পেরেছেন বলেও জানিয়েছন তিনি।

যদিও গত মে মাসের শুরুতে ইসরায়েল গুরুত্বপূর্ণ এই ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং এরপর থেকে সেটি বন্ধ রয়েছে।

বিনু/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ