ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, হিজাব নিয়ে নতুনভাবে চক্রান্ত শুরু হয়েছে। প্রকাশ্যে ধুমপান দেশের আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ একথা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা স্মরণ করিয়ে দেয়ায় তার বিরুদ্ধে নাস্তিক্যবাদী শাহবাগীরা মাঠে নেমেছে। রমজান মাসে প্রকাশ্যে ধুমপান করা ইসলামের বিধি-বিধানের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। অপরদিকে ওড়না ঠিক করে পরতে বলায় যুবককে গ্রেফতার। এসবক খুব ভাল লক্ষণ নয়। ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে ইসলাম বিদ্বেষীদের দ্বারা ফেল করানোর হুমকি দিয়ে ছাত্রীদের হিজাব/নিকাব খুলতে বাধ্য করা, শ্রেণিকক্ষে শত শিক্ষার্থীর সামনে পর্দার কারণে মেয়েদের হয়রানি করা, ভাইভা বোর্ড থেকে পর্দাশীল প্রার্থীদের গালি দিয়ে কাঁদিয়ে বের করে দেয়ার মতো অসংখ্য ঘটনায় কোনো প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি কথিত এসব নারী স্বাধীনতাকামীদের। তাহলে পর্দা করতে বললে দোষ হয়? বাংলাদেশে রমজানের প্রতি ন্যূনতম সম্মানবোধ তো নেই-ই, এখন তথাকথিত নারীরা ইসলামের বিধানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিরোধীতা করছে।
ইসলামী আন্দোলনের আমীর বলেন, রমজান মাসের মূল শিক্ষা হলো আল্লাহভীতি অর্জন করা। মানুষের জীবনের সকলক্ষেত্রে আল্লাহভীতি অর্জন করতে পারলে এধরণের মানুষ দ্বারাই কেবল দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়া সম্ভব। মানুষের মধ্যে আল্লাহর ভয় না থাকায় দেশের সম্পদ লুটেপুটে খাচ্ছে। যে ব্যক্তির অন্তরে আল্লাহর ভয় থাকে সে কখনো রাষ্ট্রের সম্পদ কুক্ষিগত করতে পারে না। কোন প্রকার পাপ পঙ্কিলতায় জড়াতে পারে না। সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে আল্লাহভীরু শাসক প্রতিষ্ঠিত হলে দেশ দুর্নীতিমুক্ত করা সম্ভব।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বরিশালের চরমোনাই মাদরাসা ময়দানে অনুষ্ঠিত বিশেষ তালিম তারবিয়াতের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনায় পীর সাহেব চরমোনাই ছাড়াও নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, মাদরাসার শিক্ষকগণ এবং চরমোনাই ইউপি চেয়ারম্যান মুফতী জিয়াউল করীম অংশ নেন।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, রাষ্ট্রের সর্বত্র অশান্তি বিরাজ করছে। মানুষ মানুষকে খুন, হত্যা করছে। এমতাবস্থায় রমজানের শিক্ষা গ্রহণ করে আল্লাহর অর্জন করতে হবে।
হাআমা/