পোষ্য কোটা সম্পূর্ণরূপে বাতিলের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রশাসনিক ভবনে অনির্দিষ্টকালের জন্য তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা।
পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা।
এর আগে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। তারা ৯টা ৫০ মিনিট থেকে মাইকে প্রশাসন ভবন থেকে সবাইকে বের হয়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়। তবে প্রশাসন ভবনে অবস্থানকারীরা বের হয়ে যাননি। এরপর ১০টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসন ভবনের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাবি শাখার অন্যতম সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘কোটার দাবিতে চলমান আন্দোলনের কারণে দেশের একটি স্বৈরাচার সরকার পরিবর্তন হয়ে গেল। অথচ একটি অযৌক্তিক পরিবারতন্ত্রের কোটা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বহাল রেখেছে। এর সম্পূর্ণ বাতিল না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলতে থাকবে।’
সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের মেইন মেন্ডেট ছিলো কোটার যৌক্তিক সংস্কার। কিন্তু বিপ্লব পরবর্তী কোটার যৌক্তিক সংস্কারতো হয়নি, বরং একটি অযৌক্তিক, অবৈধ কোটা এখনো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রেখে ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তার প্রেক্ষিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিগত এক মাস ধরে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে এবং প্রশাসনকে সময় দিয়েছে।’
এরআগে বুধবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে ভর্তি কমিটির সভায় পোষ্য কোটা ৪ থেকে কমিয়ে এক শতাংশ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ওই কমিটির সভাপতি উপাচার্য প্রফেসর সালেহ্ হাসান নকীব সভায় সভাপতিত্ব করেন। এরপর রাতে সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান জানিয়ে রাবির প্রশাসনিক ভবনে অনির্দিষ্টকালের জন্য তালা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘মানবিক কারণে রাখা হয়েছে এক শতাংশ কোটা। শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি প্রত্যাহারের আহ্বানও জানিয়েছেন উপ-উপাচার্য।’
এ দিকে বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর সালেহ্ হাসান নকীব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে দাবি করেছেন, পোষ্য কোটা এক শতাংশ করা নিয়ে, কোনো ইস্যু হলে সেটি হবে অপচেষ্টা।
আরএইচ/