নওগাঁ প্রতিনিধি: আহসান হাবীব শিপলু
নতুন বছরের প্রথম দিনে সারা দেশের ন্যায় বিনামূল্যের সরকারি নতুন পাঠ্যবই পাওয়া শুরু করেছে নওগাঁর কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। বছরের প্রথম দিনে জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে কিছু নতুন বই পৌছেছে। হাতে নতুন বই নিয়ে উল্লাসিত তারা। নতুন বই নিতে সকাল থেকেই প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোকে হাজির হন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে জেলার বিদ্যালয়গুলো। জেলায় এ বছর মাধ্যমিকের বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৪২ লক্ষ ১৭ হাজার ১৯৮টি এবং প্রাথমিকে চাহিদা রয়েছে ১৩ লক্ষ ৫১ হাজার ৩৫২টি।
জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলায় বইয়ের চাহিদা রয়েছে মোট ৫ লক্ষ ৮৪হাজার ৫২৫টি তারমধ্যে মোট বই এসেছে ২২ হাজার ৪০০টি, মহাদেবপুরে মোট বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৩ লক্ষ ৪৮ হাজার ৭৫০টি তারমধ্যে এসেছে মোট ১২ হাজার ৪৫০টি, আত্রাই উপজেলা মোট বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৫ লক্ষ ৪৪ হাজার ৫০টি, তারমধ্যে এসেছে ৩৪ হাজার ৯৫০টি, পোরশা উপজেলায় মোট বইয়ের চাহিদা রয়েছে ২ লক্ষ ৯৭টি তারমধ্যে এসেছে ৩ হাজার ৩০০টি, মান্দা উপজেলায় মোট বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৫ লক্ষ ১৮ হাজার ১২১টি তারমধ্যে এসেছে ২১ হাজার ৯০০টি, ধামইরহাটে মোট বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৩ লক্ষ ১০ হাজার ২৪৬টি, তারমধ্যে এসেছে ৮ হাজার ২৫০টি, পত্নীতলায় বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৩ লক্ষ ৯৮ হাজার ৮২০টি, তারমধ্যে এসেছে ২৬ হাজার ৪০০ টি, সাপাহারে মোট বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৩ লক্ষ ১০ হাজার ৭০০টি তারমধ্যে এসেছে ১২হাজারটি, নিয়ামতপুরে বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৩ লক্ষ ৩৩ হাজার ৪৪০টি, তারমধ্যে এসেছে ১২হাজার ৬০০টি, রাণীনগরে মোট বইয়ের চাহিদা রয়েছে ২ লক্ষ ৫৫ হাজার ৮৫০টি, তারমধ্যে এসেছে ৮হাজার ৭০০টি, বদলগাছীতে মোট বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৩ লক্ষ ২৭ হাজার ৩৪০টি, তারমধ্যে এসেছে ২৪ হাজার ৭৪৩টি। এছাড়াও কারিগরি শাখায় বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৮৫ হাজার ২৬৯টি, এ শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য এখন পর্যন্ত কোনো বই আসেনি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার ১ হাজার ৩৭৪ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই বছর মোট শিক্ষার্থী রয়েছে ৩ লক্ষ ৯ হাজার ১শ ৬৯ জন। সেইসব শিক্ষার্থীর জন্য এ বছর বইয়ের চাহিদা রয়েছে ১৩ লক্ষ ৫১ হাজার ৩৫২টি। এরমধ্যে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত মোট বই এসেছে ২ লক্ষ ৮৫ হাজার ৬৩টি।
ঈশ্বর লক্ষীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. তানভীর ইসলাম তুহিন বলেন, নতুন বই পেয়ে আমি খুশি। আমার খুব ভালো লাগছে। নতুন বই পাওয়া কি যে আনন্দ তা বলে বুঝানো যাবে না।
উপজেলার সুবরাজপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাধান শিক্ষক আব্দুস সালাম বলেন, আমাদের হাতে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির তিনটি করে বই এসেছে। তা আজ শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। নতুন বই হাতে পেয়ে তাদের মাঝে যেন খুশির সীমা নেই।
জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য দেওয়া চাহিদা মোতাবেক সব বই আসেনি, যা এসেছিল তা আজ শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।
নওগাঁ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জেলার সব স্কুলের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে ৩টি নতুন বই তুলে দেয়া হচ্ছে আজ। তবে চাহিদা অনুযায়ী সব বই এখনও জেলায় পৌঁছায়নি। আশা করছি খুব দ্রুতই বই পৌঁছে যাবে। বই হাতে এলেই আমরা তা শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেবো।
আরএইচ/