গাজী তাওহীদ বিন মুমতাজ
অদ্য ২৩/০৫/২০২৫ ঈসাব্দ শুক্রবার বাদ জুমা যশোর দড়াটানা ভৈরব চত্ত্বরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ যশোর জেলা শাখার উদ্যোগে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা আনোয়ারুল করীম যশোরী। শুক্রবার বাদ জুমআ দুপুর ২ টায় বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়ে দড়াটানা ভৈরব চত্ত্বর থেকে মিছিল বের হয়ে চৌরাস্তা মোড় প্রাঙ্গনে যেয়ে শেষ হয়। এই সময় মহান আল্লাহর নিকট দোআ কামনার মাধ্যমে মিছিল ও সমাবেশ শেষ করেন নেতৃবৃন্দ।
উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে অংশ নেন হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লী, কওমী মাদরাসা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্রসহ বিভিন্ন পেশার মানুষজন।
উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ ২০১৩ সালের শাপলা চত্ত্বরের গণহত্যাসহ সকল গণহত্যার বিচার ও ফ্যাসিবাদের আমলে দায়েরকৃত হেফাজত নেতৃবৃন্দের সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোরালো দাবী তুলে ধরেন।
বক্তারা আরো বলেন, "সম্প্রতি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠনকৃত নারী সংস্কার কমিশনের দাখিলকৃত ৩১৮ পৃষ্ঠাব্যাপী প্রতিবেদনের কিছু অনুচ্ছেদ সরাসরি কুরআন-হাদীস বিরোধী, কিছু অনুচ্ছেদ আংশিক কুরআন-হাদীসের সাংঘর্ষিক। নারী অধিকার সংস্কার কমিশন কর্তৃক যে প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে, সেটি ঐকমত্য কমিশনে উপস্থাপন করা হয়েছে, সেখানে অত্যন্ত আপত্তিকরভাবে ধর্মীয় বিধিবিধান, বিশেষ করে ইসলামি উত্তরাধিকার আইন ও ইসলামি পারিবারিক আইনকে নারীর প্রতি বৈষম্যের কারণ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। আমরা এই প্রস্তাবনা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান এবং বাতিলের দাবি করছি।
দেশে যখন নীতি-নৈতিকতার অভাবে বিভিন্ন ধরনের পারিবারিক এবং সামাজিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে, সেই পরিস্থিতিতে নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের ভিত্তিতে সামাজিক শৃঙ্খলা ও সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনার পরিবর্তে নারী সংস্কার কমিশনের এই কার্যকলাপ সমাজকে চরম অনিশ্চয়তা ও অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দেবে।"
নেতৃবৃন্দ আরো জানান, "বাংলাদেশের সংবিধান সংস্কার কমিশনে যে প্রস্তাব আনা হয়েছে, তার মধ্যে অত্যন্ত বিতর্কিত এবং শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে একটা প্রস্তাব, তা হল 'বহুত্ববাদ'। আমরা বহুত্ববাদের প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করছি। সুতরাং বহুত্ববাদের প্রস্তাব বাতিল করে মহান আল্লাহর ওপর অবিচল আস্থা ও বিশ্বাসের ধারা পুনর্বহাল করতে হবে।"
নেতৃবৃন্দ আরো উল্লেখ করেন, "ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলিম গণহত্যা ও নির্যাতন বন্ধ করতে হবে এবং ভারতের মোদী সরকারের বিতর্কিত ওয়াকফ বিল বাতিল করতে হবে।"
উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে অন্যান্যের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ যশোর জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল মান্নান,
সেক্রেটারী মাওলানা নাজির উদ্দীন , মাওলানা বেলায়েত হোসেন, মাওলানা হামিদুল ইসলাম, মাওলানা নাসীরুল্লাহ, মুফতি শামসুর রহমান, মাওলানা মাজহারুল ইসলাম, মুফতি হাফিজুর রহমান, মুফতি কামরুল আনোয়ার নাঈম, মুফতি আব্দুর রহমান এযাযী, মুফতি আমানুল্লাহ কাসেমী, মুফতি মাসউদুর রহমান, মাওলানা জিয়াউর রহমান, মুফতি সাইফুল ইসলাম সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ
এসএকে/