বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ শরীয়তপুর জেলার চিকন্দী নিবাসী, ঢাকা কলেজের মেধাবী ছাত্র মুহাম্মদ মামুন-এর কবর জিয়ারত করে তার পরিবারকে নগদ উপহার ও সান্ত্বনা দিয়েছেন বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক।
আজ বুধবার ২১ আগস্ট দুপুরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মাওলানা মাহফজুল হকের নেতৃত্বে কবর জিয়ারতে প্রতিনিধি টিমে আরও ছিলেন জাতীয় ইমাম পরিষদ বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি আ ফ ম আকরাম হুসাইন, মাওলানা আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মাওলানা আব্দুর রহমান খান ফরায়েজি, মাওলানা নাসির উদ্দীন, হাফেজ দবির উদ্দীন, মাওলানা তারিক জামিল, মাওলানা কারামতুল্লাহ মাসউদ, মাওলানা জামাল উদ্দীন প্রমুখ ওলামায়ে কেরাম।
শহীদের বাবা ও ভাইকে সান্ত্বনা দিয়ে মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, ইসলামের আলোকে এটা মেনে নেয়া যে তার হায়াত শেষ হয়েছে বিধায় আল্লাহ তায়ালা তাকে উঠিয়ে নিয়েছেন। মানুষের সকল জরুরত পূরণকারী হলেন আল্লাহ। তার মাধ্যমে পারিবারিক যে জরুরত পূরণ হতো, আল্লাহ তায়ালা তা অন্যভাবে পূরণ করবেন ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, আপনার সন্তানের কবরে যেন ফুল দেয়া না হয়। মোমবাতি জ্বালিয়ে যেন শোক প্রকাশ না করা হয়। বরং কুরআন তিলাওয়াত, দান-সদকা ইত্যাদির মাধ্যমে যেন তার রূহের মাগফেরাত কামনা করা হয়। কেউ যেন শহীদ মামুনের কোন ভাস্কর্য তৈরী না করতে পারে, সেজন্য পরিবারকে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন মাওলানা মাহফুজুল হক।
মুফতি আ ফ ম আকরাম হুসাইন বলেন, দেশের জন্য আপনার সন্তান নিজের তাজা খুন ঢেলে লাখো মানুষের মুখে প্রশান্তির হাসি ফুটিয়েছে। এ অবদানের কোন তুলনা হয় না। আপনি সৌভাগ্যবান পিতা। আপনার সন্তান অমর হয়ে থাকবে।
হাআমা/