শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান' বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ২৫ নভেম্বর ‘আলেমদের নেতৃত্বেই কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন সম্ভব’ বইমেলায় ‘সঠিক নিয়মে হাতের লেখা প্রশিক্ষণ বাংলা’-এর মোড়ক উম্মোচন সিলেটে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সমাবেশ শনিবার সেনাকুঞ্জে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আলেম রাজনীতিবিদরা খালেদা জিয়াকে পেয়ে সেনাকুঞ্জ গর্বিত: প্রধান উপদেষ্টা লক্ষ্মীপুর মারকাযুন নূরে ১১ মাসে হাফেজ হল ১১ বছরের শিশু আফসার যেসব অভ্যাস নীরবে মস্তিষ্কের ভয়াবহ ক্ষতি করে বৈষম্য ও অন্যায় নির্মূলে খেলাফত রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই: মজলিস আমীর আওয়ামীলীগকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর আহ্বান খেলাফত মজলিসের

‘মানতিক; যুগের চাহিদার সাথে মিলে না’ এ ধরেণের কথা অযৌক্তিক: মুফতি হিফজুর রহমান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: আওয়ার ইসলাম

|| হাসান আল মাহমুদ ||

‘আমাদের মুরব্বি আলেমগণ শিক্ষা সিলেবাসকে সেভাবেই সাজিয়েছেন, যাতে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকশিত হয়, শক্তিশালী হয়। মানতিক পড়ার দরকার নেই, তা যুগের চাহিদার সাথে মিলে না এ ধরেণের কথা অযৌক্তিক’ বলে মতামত ব্যক্ত করেন জামিয়া রাহমানিয়া আজিজিয়া’র প্রধান মুফতি ও মারকাজুল মাআরিফিন নোমানিয়া’র পরিচালক লেখক ও শিক্ষাবিদ আলেম মুফতি হিফজুর রহমান

সম্প্রতি এই প্রতিবেদকের সঙ্গে মোহাম্মদপুর বছিলায় অবস্থিত নিজের পরিচালিত প্রতিষ্ঠান মারকাজুল মাআরিফিন নোমানিয়ায়  এক দুপুরে সাক্ষাৎকারে তিনি এই মতামত ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, সিলেবাসে মানতিক শাস্ত্র দীর্ঘ বছর ধরেই আছে। আমরা যখন পড়ি, তখন মানতিকের অনেক কিতাবাদি পড়েছি।  প্রথম দিকে মীর সাইয়্যেদ শরীফ রচিত ‘সুগরা আওসাত, কুবরা’ ও ‘মীযানুল মানতিক’ পড়েছি। তারপর দ্বিতীয় বর্ষে ‘মিরকাত, তারপরে শরহে তাহযীব পড়েছি। মোল্লা হাসান রচিত সুল্লামুল উলুম, কাজী হামদুল্লাহ রচিত কিতাবসহ আরো অনেক কিতাব পড়েছি আমাদের ছাত্র জীবনে। মানতিক শাস্ত্রের এতগুলো কিতাব পড়ানো হত, যা অন্য কোনো ফন (বিষয়)-এর এতো কিতাব দরসে নেজামিতে ছিল না’।

মানতিক শাস্ত্র পাঠের উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে এই শিক্ষাবিদ আলেম বলেন, ‘এ ফনের (শাস্ত্র) দ্বারা আকাবিরদের উদ্দেশ্য হলো, যাতে এর দ্বারা একজন আলেমের মেধা শক্তিশালী হয়ে যায়। দুর্বল ছাত্র যারা আছে, তারা হয়তো সমানভাবে বুঝে না। তবে, মেধাবী ছাত্র যারা আছে, তাদের মেধাকে বিকশিত করার কাজে মানতিকের অবদান অনস্বীকার্য’।

তিনি বলেন, ‘সাধারণত দারুল উলুম দেওবন্দকে আমরা অনুসরণ করি। সেখানে এখনো সুল্লামুল উলুম, মায়মুজী, শরহে তাহযীবসহ মানতিক শাস্ত্রের কিতাবাদি সিলেবাসে আছে। স্কুল-কলেজেও দেখা যায় , বিভিন্ন জনে বিভিন্ন সাবজেক্ট নিয়ে লেখাপড়া করে। দেখা যায় তাদের অনেক সাবজেক্ট যুগের সাথে মিল নাই। ম্যাথ-অংক সাবজেক্ট নিয়ে পড়ালেখা করে অনার্স-মাস্টার্স করে, পরে দেখা যায় যে সে চাকরি করে এমন এমন জায়গায়, যেখানে তার এতোদিনকার পড়ার সাথে বাস্তব জীবনের কোনো মিল নাই। কেউ সাহিত্য নিয়ে মাস্টার্স করলো অথবা অংক নিয়ে মাস্টার্স করলো, পরে দেখা গেলো চাকরি হয়েছে রেলওয়েতে। তাহলে তাদেরও বক্তব্য হলো- এই কঠিন থেকে কঠিনতর অংকগুলো সিলেবাসে রাখা হয়েছে, যাতে করে শিক্ষার্থীদের মেধাকে শক্তিশালী করা যায়। কর্মজীবনে সে এই অংক নিয়ে চাকরি করুক বা না করুক, তার মেধা বিকশিত হবে এ অংক দ্বারা। তদ্রুপ মানতিক শাস্ত্র দ্বারাও মেধার শক্তি বৃদ্ধি পায়।  এর দ্বারা বাতিল ফেরকার উত্তর দিতে হবে এমন নয়, বরং এর দ্বারা একটা বুদ্ধি পয়দা হয়’।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ