আলেমরা হলেন নবীদের উত্তরাধিকারী। নবীগণ দুনিয়া চালাতে সকল বিষয়েই নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন। দ্বীন ও দুনিয়া এক সঙ্গে করে নিয়েই তাঁরা চলেছেন। দুনিয়ার জীবন সুন্দর ও পরিপাটি করেছেন দ্বীনের মাধ্যমে। দুনিয়ার প্রতিটি সেক্টরে নবীদের প্রশংসনীয় অতুলনীয় নেতৃত্ব রয়েছে। আর, আলেমরা হলেন সেই নবীদের উত্তরাধিকারী। তাই, আলেমদের নেতৃত্বেই কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন সম্ভব হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীর ডেমরা কোনাপাড়ায় অবস্থিত ফুড প্লেস রেস্তোরা এন্ড পার্টি সেন্টারে (২য় তলা) অনুষ্ঠিত ‘কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে উলামায়ে কেরামের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব বলেন বক্তারা।
জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কোনাপাড়া, ডেমরা ৬৪ নং ওয়ার্ড উদ্যোগে আয়োজিত এই সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য দিয়েছেন মুফতি রেজাউল করিম আবরার।
মুফতি জিল্লুর রহমান-এর সভাপতিত্বে ও মুফতি মহিউদ্দিন রহমানি ও মাওলানা হোসাইন আহমদ সঞ্চালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রেখেছেন মুফতি মাসুম বিল্লাহ হামিদী।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রেখেছেন ডক্টর মাহবুবুর রহমান মোল্লা, মাওলানা ইউনুস ঢালী, সাবেক কাউন্সিলর হাজী মোহাম্মদ ইবরাহীম খলিল, মুফতি রফিকুল ইসলাম আশরাফী, মাওলানা মোরশেদ আলী, মাওলানা বেলাল বিন আলী, মাওলানা গিয়াসউদ্দিন ফয়সাল ও জনাব মাসুদ আলম, মাওলানা জুবায়ের আহমাদ, মাওলানা আনিসুর রহমান কাসেমী, মুফতি লোকমান হোসেন আমিনী, মুফতি মুসা খান প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুফতি রেজাউল করীম আবরার বলেন, কল্যাণ রাষ্ট্র মানেই ইসলামী রাষ্ট্র। এর বাইরে আর কোনো রাষ্ট্র পৃথিবীতে দেখি না। ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে দুর্নীতিসহ সকল অন্যায় বন্ধ হয়ে যাবে। এ কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করে গেছেন নবী-আম্বিয়াগণ। আলেমদের দায়িত্ব হল নবীদের রেখে যাওয়া সেই দায়িত্ব গ্রহণ করা।
তিনি বলেন, আপনি যদি কাউকে ভোট দেন, আর সে যদি চুরি করে, ডাকাতি করে, রাষ্ট্রের সম্পদ নষ্ট করে, টাকা চুরি বিদেশে পাচার করে, তার মানে আপনার ভোট তাকে এ কাজের জন্য সমর্থন দিয়েছে। এজন্য, আপনার এমন কাউকে দিতে হবে, যাদের দিলে আপনাকে আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার মুখোমুখি হতে না হয়।
রাজধানীর সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপাল ডক্টর মাহবুবুর রহমান মোল্লা তার বক্তব্যে বলেন, কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে উলামাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফ্যাসিস সরকার বিদায়ের পর বর্তমানে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন অন্তর্বর্তী সরকার। আগামীতে নির্বাচন হবে, সেই জায়গায় যেন ফ্যাসিবাদী শক্তি আসতে না পারে, আমরা যেন সুন্দর, যোগ্য ব্যক্তি দিয়েই রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পারি, সেজন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে উলামায়ে কেরামগণ। কারণ, আলেমরা মিম্বারের দায়িত্বে রয়েছেন। সমাজকে পরিবর্তন করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার তাদের রয়েছে। এই সমাজে নম্রতা-ভদ্রতা শিষ্টাচার ও আদর্শ রাষ্ট্র গঠনে তাদের ভূমিকা অবিস্মরণীয়।
তিনি বলেন, এজন্য দরকার ঐক্য। সকলের একতায় যেন আমরা আদর্শ কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি সে ব্যাপারে আমরা সবাই ভূমিকা রাখব, ইনশাআল্লাহ।
৬৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হাজী মোহাম্মদ ইবরাহীম খলিল তার বক্তব্যে বলেন, উলমায়ে কেরাম কী পরিমান নির্যাতন হয়েছেন, তা সবারই জানা। উলামায়ে কেরাম প্রেক্ষাপট তৈরী করে দেয়, আর ক্ষমতায় যায় কারা। তিনি বলেন, আগামেীর বাংলাদেশের রাষ্ট্রে যদি ইসলামকে দেখতে চাই, কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করতে চাই, তাহলে আলেমদের সকলের এখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
হাআমা/