জুলাই-আগস্ট গণহত্যাসহ সকল মানবতাবিরোধী অপরাধে দায়ী ব্যক্তিদের পাশাপাশি আওয়ামীলীগকেও দলীয়ভাবে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর আহ্বান জানিয়েছে খেলাফত মজলিস।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাপ্তাহিক সভায় খেলাফত মজলিস নেতৃবৃন্দ বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত সকল হত্যাকাণ্ডে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও জড়িত ছিল। ভিডিও ফুটেজ সনাক্ত করে এদেরকে চিহ্নিত করা সম্ভব। বিশেষ করে ৪ আগস্ট দিনব্যাপী দলীয় নির্দেশনায় আওয়ামীলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার উপর সরাসরি গুলি চালিয়ে শতাধিক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে। হাজারো মানুষকে আহত করে, পঙ্গু করে।
এছাড়াও বিগত ১৫ বছর ধরে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের খুন, গুম ও নির্যাতনের দায় আওয়ামীলীগ দলীয়ভাবে এড়াতে পারে না। শুধু আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসী নয়, সন্ত্রাস লালনকারী দলটিরও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিচার হতে হবে। জনগণ এদের বিচার দ্রুত কার্যকর দেখতে চায়। বাংলাদেশের মাটি থেকে সন্ত্রাস ও ফ্যাসিবাদের গোড়া উপড়ে ফেলতে হলে এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির কোন বিকল্প নেই। স্বৈরতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসনে যারাই সহযোগীতা করবে জনগণ তাদেরকেও ক্ষমা করবে না।
বৈঠকে খেলাফত মজলিস নেতৃবৃন্দ সরকারকে অবিলম্বে বিডিআর হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্ত্বর গণহত্যাসহ সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানান।
গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আমীরে মজলিস মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত নির্বাহী সভায় উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, যুগ্ম-মহাসচিব- এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মো: আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক- এডভোকেট মিজানুর রহমান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, আলহাজ্ব আবু সালেহীন, প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, ড. আবু মুসায়্যিব, খন্দকার শাহাবুদ্দিন আহমদ, মুফতি আবদুল হক আমিনী, এডভোকেট শাইখুল ইসলাম, অধ্যাপক মাওলানা আজীজুল হক, মাওলানা ফিরোজ আহমদ, মাওলানা সাইফ উদ্দিন আহমদ খন্দকার, মো: আবুল হোসেন প্রমুখ।
হাআমা/