আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার চর বাউশিয়া এলাকায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে র্যাবের একটি টহল গাড়ি যানজটে আটকা পড়ে। জায়গাটি অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকার সুযোগে সাধারণ যাত্রীবাহী গাড়ি মনে করে ১০ থেকে ১২ জনের একদল ডাকাত ডাকাতি করার চেষ্টা চালায়।
তবে র্যাব সদস্যরা বিষয়টি বুঝতে পেরে ধাওয়া দিয়ে হাতেনাতে আটজনকে আটক করেন। আটকদের শুক্রবার সন্ধ্যায় গজারিয়া থানায় হন্তান্তর করা হয়েছে।
জানা গেছে, আটকদের বাড়ি উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে বলে। এ সময় তাদের কাছ থেকে রামদা, তিনটি চাইনিজ কুড়াল, চাপাতি, বড় ছোরা, হাতুরি ও শাবল উদ্ধার করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন- উপজেলার ভবেরচর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে সুজন (২০), চর বাউশিয়া বড়কান্দি গ্রামের নান্নু মিয়ার ছেলে রাসেল (২৭), চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মুক্তিরকান্দি গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে আলাউদ্দিন (১৯), পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার দিঘা গ্রামের এনামুল হকের ছেলে বাদশা হোসেন দিপু (২৩), গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের নতুন বসুরচর গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে সাব্বির (১৯), নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার কাইটকারটেক গ্রামের মনোয়ার হোসেনের ছেলে হাবিবুর রহমান (১৯) ও কুমিল্লার হোমনা উপজেলার মৃত শাহাজানের ছেলে মিন্টু (২৩), ঢাকার আলুবাজার এলাকার সেলিম মিয়ার ছেলে সিয়াম (১৯)।
র্যাব-১১-এর স্কোয়াড্রন লিডার (উপ-পরিচালক) একেএম মনিরুল আলম বলেন, ডাকাত দলের দলনেতা সুজন ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকারের যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র ডাকাতি করে আসছিল।
গত দুই বছরে তারা এই মহাসড়কে প্রায় ৫০টির অধিক ডাকাতি করেছে বলে স্বীকার করেছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতদের গ্রেফতারে র্যাবের অভিযান চলমান থাকবে।
-এসআর