আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় পাঁচটি আসনের উপনির্বাচনে কোনো ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরা থাকবে না।
উপনির্বাচনে বাজেট কম থাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা থাকছে না বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার জন্য সব কিছু করবে নির্বাচন কমিশন।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় দিকে বগুড়া জেলা পরিষদ মিলনায়তনে বগুড়া-৪ এবং বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘বগুড়ার শুন্য দুই আসনের উপনির্বাচনে কোনো অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী সংসদ নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় ইসি। কেউ এর ব্যত্যয় ঘটাতে চাইলে সর্বোচ্চ কঠোর থেকে কঠোরতর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে কোন দল যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না চায় তাহলে ইসির কিছুই করার থাকবে না। সংবিধান অনুযায়ী ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, বাজেট সংকটের কারণে উপনির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ও ইভিএম মেশিন দেওয়া সম্ভব হবে না। কিন্তু নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সতর্কতার সঙ্গে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সাংবাদিকদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বস্তুনিষ্ঠ ও সত্য সংবাদ প্রচার করবেন। কেননা আপনাদের চোখই সিসি ক্যামেরা। আপনারা দায়িত্বশীলতার সঙ্গে সংবাদ প্রচার করলেই সাধারণ মানুষ সত্যটা জানতে পারবেন।
বগুড়া জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান, কাহালু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেরিনা আফরোজ, নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিফা নুসরাত প্রমুখ।
কেএল/