মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
সৌদির সেবা কোম্পানির সঙ্গে হজ এজেন্সির চুক্তির নির্দেশনা মহেশখালী থানার বিশেষ অভিযানে পরোয়ানাভুক্ত ১১ জন আসামি গ্রেফতার বৃষ্টির সময় কাবা প্রাঙ্গণে নামাজ আদায় ওমরা পালনকারীদের নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট গ্রাহকদের মূলধন ফেরত পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন মাওলানা আতহার আলীকে বাদ দিয়ে জাতীয় ইতিহাস রচিত হতে পারে না: ধর্ম উপদেষ্টা জরুরি সভা ডাকল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কক্সবাজারে উৎসবমুখর পরিবেশে রোপা আমন ধান কাটা শুরু চাঁদপুর হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় জামিয়া ইসলামিয়া দারুস সুন্নাহর সাফল্য বগুড়ায় আন্দোলনে নিহত রিপনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত

চীনে ৯০ কোটি মানুষ করোনায় আক্রান্ত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

চীনে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৯০ কোটিতে পৌঁছেছে বলে এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে। শতকরার হিসেবে দেশটির মোট জনসংখ্যার ৬৪ শতাংশই এখন প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সংক্রমণের শিকার। চীনের বর্তমান জনসংখ্যা ১৪১ কোটি।

বৃহস্পতিবার চীনের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা সংস্থা পিকিং ইউনিভার্সিটির এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে। ওই গবেষণা প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ১১ জানুয়ারি, মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশটিতে এই সংখ্যক মানুষ করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বলছে, আক্রান্ত রোগীর হিসেবে চীনের বিভিন্ন প্রদেশের মধ্যে শীর্ষে আছে গানসু। দেশটির উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় এই প্রদেশটির মোট জনসংখ্যার ৯১ শতাংশই বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত। গানসুর পর দ্বিতীয় স্থানে ইউনান (৮৪ শতাংশ) ও তৃতীয় স্থানে আছে কুইনঘাই (৮০ শতাংশ) প্রদেশ।

দেশটির কেন্দ্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা চাইনিজ সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের (সিসিডিসি) সাবেক প্রধান নির্বাহী এবং চীনের শীর্ষ মহামারিবিদ বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাৎকারে ঝেং গুয়াং বলেন, ‘করোনা এখন যে গতিতে ছড়াচ্ছে, আমার ধারণা- চলতি জানুয়ারির শেষ দিকে সংক্রমণের এই ঢেউ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌছাবে, তারপর ধীরে ধীরে করোনার প্রকোপ কমে আসা শুরু করবে।’

‘আমার এই অনুমানের ভিত্তি হলো- ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকেই নতুন চান্দ্রবছর শুরু হবে। পরিবারের সঙ্গে চান্দ্রবছরের উৎসব উদযাপণে দূর দূরান্তে থাকা লোকজন তাদের গ্রাম কিংবা শহরের বাড়িতে আসা শুরু করবে; ফলে পাল্লা দিয়ে বাড়বে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও।’

চীনে নতুন চান্দ্রবছরের ছুটি শুরু হবে ২১ জানুয়ারি থেকে। ১৪১ কোটি ২০ লাখ মানুষ অধ্যুষিত এই দেশটির প্রধান সামাজিক ও ধর্মীয় উৎসব নতুন চান্দ্রবছরের প্রথম সপ্তাহ। পরিবারের সঙ্গে এ উৎসব উদযাপন করতে কোটি কোটি মানুষ এ সময় কর্মস্থল থেকে নিজ গ্রাম বা শহরে আসেন। সাময়িক এই স্থানান্তরটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় মাইগ্রেশন নামে পরিচিত।

ইতোমধ্যেই বিভিন্ন শহর থেকে কয়েক কোটি মানুষ তাদের বাড়ি ফিরে গেছেন। সামনের দিনগুলোতে আরও কয়েক কোটি যাবেন। উৎসব উদযাপন শেষ করে তারা ফিরেও আসবেন নিজ কর্মস্থলে।

করোনার বিস্তার রোধে দীর্ঘ প্রায় তিন বছর দীর্ঘমেয়াদী লকডাউন, কোয়ারেন্টাইন, সামাজিক দূরত্ববিধি, সীমান্ত বন্ধ রাখার মতো কঠোর সব বিধি জারি রেখেচিল চীনের ক্ষমতসীন কমিউনিস্ট সরকার। চীনা সরকারের এই অবস্থান বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছিল ‘জিরো কোভিড’ নীতি নামে।

কিন্তু মাসের পর মাস ধরে এই জিরো কোভিড নীতির মধ্যে থাকতে থাকতে অতিষ্ঠ চীনের জনগণ গত নভেম্বরের শেষ দিকে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করে। জনগণের দাবি ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে যাবতীয় করোনা বিধি শিথিল করে সরকার। তার পর থেকেই করোনা সংক্রমণের উল্লম্ফণ শুরু হয়েছে দেশটিতে।

বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর থেকে দেশে করোনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা আর প্রকাশ করছে না চীনের সরকার। তবে সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটির সব বড় শহরের হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রগুলো উপচে পড়ছে করোনা রোগীদের ভিড়ে। অনেক শহরে ভর্তির সুযোগ না পেয়ে হাসপাতালের কম্পাউন্ড ও গ্যারেজেও চিকিৎসা নিচ্ছেন গুরুতর অসুস্থ রোগীরা।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ