আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: নাস্তিক্যবাদী ও বিধর্মী এজেন্ডা বাস্তবায়নে ৯২% মুসলমানদের দেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই।
তিনি বলেন, জাতীয় শিক্ষা কারিকুলাম, শিক্ষাক্রমে যে পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করা হয়েছে তা পীর আউলিয়ার বাংলাদেশের শিক্ষা-সংস্কৃতি ও চেতনা বিরোধী। একটি মুসলিম দেশের জনগণ ইসলাম বিরোধী কারিকুলাম গ্রহণ করবে না। শিক্ষা ক্ষেত্রে ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবিতে জনগণ প্রয়োজনে সরকার পতনের আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।
জমিয়াতুল মোদার্রেছীন ঘোষিত ১৩ দফার প্রতি পুনঃসমর্থন ঘোষণা করে আগামীকাল ১৪ নভেম্বর দেশব্যাপী মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচীর প্রতি একাত্বতা প্রকাশ করে উল্লেখিত কর্মসূচি সফল করতে মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
আজ রবিবার দুপুরে পুরানা পল্টনস্থ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মাওলানা নেছার উদ্দিন, যুবনেতা ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মুজাহিদ, শ্রমিকনেতা এইচএম ছিদ্দিকুর রহমান ও মুফতী মোস্তফা কামাল, শহিদুল ইসলাম কবিরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের চিন্তা চেতনা বিরোধী শিক্ষা কারিকুলাম দেশবাসী ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করবে। তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রী ভারতের প্রেশক্রিপশন বাস্তবায়নে আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছে।
কিন্তু একটি কথা পরিস্কার করে বলতে চাই, যে জাতি দীর্ঘ নয় মাস সংগ্রাম করে দেশ স্বাধীন করেছে এবং আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে যুদ্ধ শুরু করেছিল, সে জাতিকে দমিয়ে রাখার কোন সুযোগ নেই। তিনি অবিলম্বে নাস্তিক্যবাদী ও ধর্মহীন শিক্ষা কারিকুলাম থেকে বাদ দিয়ে পূর্বের ন্যায় ইসলাম ধর্ম শিক্ষা ও দীনিয়াত শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। অন্যথায় এ ব্যাপারে কোন ছাড় দেয়া হবে না। কঠোর থেকে কঠোর আন্দোলন গড়ে উঠবে।
-এটি