আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের অনেক উন্নয়ন করেছেন।
কিন্তু ইসলাম বিরোধী সিদ্ধান্ত এবং দুর্নীতির কারণে জনগণের মনে স্থান করে নিতে পারে নাই। নতুন প্রজন্মকে নাস্তিক ও ধর্মহীন করার ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করে সিলেবাসে নাস্তিক্যবাদী শিক্ষা সংযোজন করেছেন। শিক্ষা সিলেবাস থেকে ডারউইনের মতবাদ বাদ দিতে হবে। হিন্দুত্ববাদী শিক্ষানীতি বাতিল করতে হবে। তিনি বলেন, বিধর্মীরা কুরআনুল কারীম রিসার্চ করে মুসলমান হচ্ছেন কিন্তু মুসলমানরা কুরআন ও কুরআনী শিক্ষা তথা ইসলামী শিক্ষার বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন।
চরমোনাই’র পীর সাহেব আরো বলেন, একশ্রেণির মুসলমান সন্তানদের কার্যক্রম দেখলে মনে হয় তারা নাস্তিক ও মুরতাদ হবার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে। এ অবস্থা থেকে ফিরে আসতে হবে। নৈতিকতা বিবর্জিত শিক্ষা ব্যবস্থায় মানুষ ক্রমেই নীতি নৈতিকতা হারিয়ে ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামী শিক্ষাকে অবজ্ঞার কারণে এমনটি হচ্ছে।
গতকাল রাতে রাজধানীর গুলিস্তানস্থ কাজী বশির মিলনায়তন চত্বরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর আয়োজিত ২দিনব্যাপী জাতীয় সীরাতুন্নবী সা. মাহফিলের সমাপনী আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সীরাত মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, ফরিদাবাদ মাদরাসার মুহতামিম ও শায়খুল হাদীস আল্লামা আব্দুল কুদ্দুস, শায়খ যাকারিয়া রহ. ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের মহাপরিচালক মুফতী মিজানুর রহমান সাঈদ, জামিয়া কারিমিয়া রামপুরার সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতী ওয়ালী উল্লাহ। পরিচালনায় ছিলেন কেএম শরীয়াতুল্লাহ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ অবাদুল কাইয়ূম, নগর দক্ষিণ সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন ও আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, আব্দুল আঊয়াল মজুমদার, ডা. শহিদুল ইসলাম, মুফতী আব্দুল আহাদ, শেখ মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, মাওলানা নজরুল ইসলাম, মাওলানা জিয়াউল আশরাফ প্রমুখ।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, নববী আদর্শ বাদ দিয়ে মানব রচিত কুফরি মতবাদের অনুসরণ ও অনুকরণর কারণে দেশের সামগ্রিক অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে ইসলামী অনুশাসন বাদ দিয়ে অন্য কোনো বুর্জোয়া মতবাদের প্রাধান্য দেয়া কখনোই বুদ্ধিমান শাসকদের কাজ হতে পারে না। তিনি বলেন, পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, পরকালের নাজাতে ব্যক্তি জীবনের সর্বক্ষেত্রে রাসুল (সাঃ) এর আদর্শ অনুসরণ ও বাস্তবায়ন করাই হচ্ছে প্রকৃত মুমিন মুসলমানের কাজ। রাসুল সা. এর জীবনাদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি গড়ে তোলা সম্ভব।
বিশ্বব্যাপী অশান্তি, দুর্দশাগ্রস্ত জাতিকে সঠিক পথে পরিচালনা করতে হলে, সর্বক্ষেত্রে নববী আদর্শ প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাসূলসাল্লাল্লাহুসালামের আদর্শই একমাত্র সমাধান।
পীর সাহেব চরমোনাই আগামী ১০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে জমায়েতে শেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে অনুষ্ঠিতব্য গণমিছিল সফলের জন্য সর্বস্তরের জনতার প্রতি আহ্বান জানান।
-এটি