আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: কুয়েত আমীরের তত্ত্বাবধানে দেশটিতে অনুষ্ঠিত ১১তম আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের কিশোর হাফেজ আবু রাহাত বিশ্বজয়ী হওয়ায় তাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতীয় তাফসীর পরিষদ-এর চেয়ারম্যান মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মহাসচিব হাফেজ মাওলানা মাকসুদুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব শায়খুল হাদীস অধ্যক্ষ মুফতী বাকিবিল্লাহ, মুফতী ওমর ফারুক যুক্তিবাদী, হাফেজ মাওলানা নাযীর আহমাদ শিবলী।
বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় ১১৭টি দেশকে পেছনে ফেলে এ কৃতিত্ব অর্জন করায় হাফেজ রাহাতের প্রতি আন্তরিক মোবারকবাদ রইল।
উল্লেখ্য, এ প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কুয়েত, সৌদি আরব, মিশর, লিবিয়া ও ইয়েমেনের বিশেষজ্ঞরা। অনূর্ধ্ব ১৩ বছরের গ্রুপে তৃতীয় হওয়ায় আবু রাহাত পুরস্কার ও সম্মাননা অর্জন করে বাংলাদেশের মর্যাদা বিশ্বে উজ্জ্বল করেছেন।
আজ এক অভিনন্দন বার্তায় তারা বলেন, মাত্র ১৩ বছর বয়সের একজন হাফেজে কুরআন আবু রাহাতের এই বিজয় মুসলিমবিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা উজ্জ্বল করেছে।
তার এই গৌরবময় মুসলিম উম্মাহর বিজয়, ইসলামের বিজয়, কুরআনের বিজয়। এ বিজয় এটা প্রমাণ করেছে যে, শত প্রতিকূলতা ও সঙ্কটের মধ্যেও বাংলাদেশে ইসলামী সংস্কৃতি ও শিক্ষার চর্চা থেমে নেই। হাফেজ আবু রাহাতের বিজয়ে দেশের সর্বস্তরের মানুষ খুশী ও আনন্দিত। বিশ্ববিজয়ী হাফেজ আবু রাহাতের শিক্ষক এবং পিতা-মাতাকেও অভিনন্দন জানিয়ে তারা বলেন, প্রতিটি মুসলিম মা-বাবার কর্তব্য, নিজ নিজ সন্তানকে আবশ্যিকভাবে কুরআন ও ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করা।
এতে তারা শুধু পরকালেই আল্লাহর কাছে পুরষ্কারপ্রাপ্ত হবেন না, দুনিয়াতেও মর্যাদাবান হবেন এবং তাদের সন্তানরা সৎ ও আদর্শবান হিসেবে গড়ে উঠার পথ খুঁজে পাবে।
তারা বলেন, ১১৭ দেশের অনেক বড় পরিসরের কুরআন প্রতিযোগিতায় হাফেজ আবু রাহাতের বিজয়ে দেশের সর্বস্তরের জনতা যে হারে বিপুল আনন্দ উদযাপন করছে, তাতে প্রমাণ হয় দেশের ১৮কোটি জনতা ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক্যবাদিদের মিথ্যাচারে কখনো বিভ্রান্ত হন না। তারা বলেন, হিফজুল কুরআন মাদরাসা ও কুরআন শিক্ষার বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত উপেক্ষা করে আবু রাহাত বিজয়ী হয়ে বিজয়ের ধারা অব্যাহত রাখবে।
১১৭টি দেশের হাফেজের মধ্যে হাফেজ আবু রাহাত তৃতীয় স্থান অর্জন করায় তিনি এ অভিনন্দন জানান। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- কুয়েতের শিক্ষা ও ইসলামিক বিষয়ক মন্ত্রী আব্দুল আজিজ মাজিদ, বিভিন্ন রাষ্ট্রে বিচারকের দায়িত্বপালনকারী মিশরের ড. ফুয়াদ আব্দুল মাজিদ, মিশরের বিশ্ববিখ্যাত কারী শায়েখ ড. জিবরিল, দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত বিশ্ব কোরআন প্রতিযোগিতার উপস্থাপক শায়েখ যায়েদসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।
-এটি