আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত ভ্রাতৃপ্রতিম দুই দেশ। তারই একটি স্বাক্ষর এখানে দেখানো হল জয়েন্ট রিট্রিট প্যারেড। দুই দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব অটুট থাকবে এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীরে যাবে। আমরা আশা করি একসঙ্গে চলব এক সঙ্গে উন্নয়নের গান গাইব। মুক্তিযুদ্ধে অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে আমাদের সহযোগিতা করেছে ভারত।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টে আজ বৃহস্পতিবার বিজিবি-বিএসএফ জয়েন্ট রিট্রিট প্যারেডের দর্শক গ্যালারির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বাধীনতা যুদ্ধের কথা স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, ‘অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে আমাদের সহযোগিতা করেছে ভারত। ভারতের বিএসএফেরও অনেক সহযোগিতা পেয়েছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘করোনার কারণে বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ি রুটে ভিসা দেওয়া বন্ধ রয়েছে। দুই দেশ আলোচনা করে খুব শিগগিরই ভিসা দেওয়া চালু করার ব্যবস্থা করব।’
বিজিবি-বিএসএফের চমকপ্রদ ও মনোমুগ্ধকর প্যারেড প্রদর্শনের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজিবি ও বিএসএফ কন্টিনজেন্টকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় তাঁদের মিষ্টি বিতরণ করেন এবং তাঁদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন।
এ সময় বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ, পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান, বিএসএফ নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার, শিলিগুড়ির আইজি অজয় সিং, বিজিবির উত্তর পশ্চিম রংপুর রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ বি এম নওরোজ এহসান, বিজিবি-বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকতা, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম, পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হান্নান শেখ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মন্ত্রী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে রাখাতে গ্যালারি চত্বরে ফলক উন্মোচন ও বৃক্ষরোপণ করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের যৌথ রিট্রিট প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়। পরে বাংলাবান্ধায় নবনির্মিত গ্যালারি চত্বরে অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ জয়েন্ট রিট্রিট সিরিমনিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য উভয় বাহিনীর মধ্যে শুভেচ্ছা উপহার বিনিময় হয়।
পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মাহফুজুল হক স্বাগত বক্তব্য দেন। বিজিবি-বিএসএফসহ দুই দেশের জনগণের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুপ্রতীম ভাতৃত্ববোধ সম্প্রসারণের পাশাপাশি উভয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিরাজমান পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার ও আস্থা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে বিজিবি ও বিএসএফ কন্টিনজেন্ট এই প্যারেড প্রদর্শন করেন বলে বিজিবি অধিনায়ক জানান।
-এটি